Delhi 10/11 Blast: ওঁত পেতে বসেছিল পার্কিং লটে, চলছিল রেইকি! দিল্লির বিস্ফোরণে যোগ কাশ্মীরি চিকিৎসকের?
Delhi Blast News: এরপর ৬টা ৪৮ মিনিট নাগাদ গাড়িটি সেই পার্কিং লট থেকে বেরিয়ে পড়ে। যে সময় তারা রওনা দেয় তখন রাস্তায় প্রচণ্ড যানজট। তবে শুধুই লালকেল্লা নয়, বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ মাধ্যমে গাড়িটিকে দরিয়াগঞ্জ, কাশ্মীর গেট, লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ায় গাড়িটি।

নয়াদিল্লি: দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের ঘটনায় আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আর সেই ফুটেজ বিশ্লেষণ করতে গিয়েই হাতে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণ হওয়া হুন্ডাই আই২০ গাড়িটি ঘুরে বেড়াচ্ছে দিল্লির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গাড়িটি দুপুর ৩টে ১৯মিনিট নাগাদ লালকেল্লা সংলগ্ন একটি পার্কিং লটে ঢুকে পড়ে। এরপর সেই সময় গাড়িতে উপস্থিত সন্দেহভাজনরা গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। অনুমান, কোথায় বিস্ফোরণ ঘটালে নাশকতার মাত্রা তীব্র থাকবে, সেটাই বুঝতে গাড়িটিকে ওই পার্কিং লটেই দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
এরপর ৬টা ৪৮ মিনিট নাগাদ গাড়িটি সেই পার্কিং লট থেকে বেরিয়ে পড়ে। যে সময় তারা রওনা দেয় তখন রাস্তায় প্রচণ্ড যানজট। তবে শুধুই লালকেল্লা নয়, বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ মাধ্যমে গাড়িটিকে দরিয়াগঞ্জ, কাশ্মীর গেট, লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ায় গাড়িটি।
কিন্তু এই গাড়ির ভিতরে কারা ছিল? পরিচয় কী তাঁদের? সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সন্দেহভাজন গাড়ির ভিতরে থাকা ব্যক্তিদের বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্দারপুর সীমানা পেরনোর সময় সিসিটিভি ফুটেজে গাড়ির ভিতরে থাকা চালকের হাত দেখা যায়। আরও একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় গাড়ির ভিতরে থাকা সন্দেহভাজনের মুখও। কিন্তু তা একেবারে অস্পষ্ট।
অবশ্য় দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে ফরিদাবাদের বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনার যোগ থাকতে পারে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ওই ফরিদাবাদ মডেলের সঙ্গেই যুক্ত কাশ্মীরের পুলওয়ামার এক চিকিৎসকের নাম জুড়ে গিয়েছে দিল্লির বিস্ফোরণ পর্বে। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, ওই গাড়িতেই বসেছিলেন মহম্মদ উমর। পেশায় চিকিৎসক।
তদন্তকারীদের অনুমান, ফরিদাবাদের কাণ্ডের মূল চক্রী উমরের সহযোগী চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিলের গ্রেফতারির পর চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন উমর। তারপরই বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলার ছক কষে সে। যার জেরে এখনও পর্যন্ত ৯ জনের প্রাণ গিয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্য়েই গাড়ির মালিক মহম্মদ সলমনকে আটক করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে তিনি জানিয়েছেন, দেড় বছর আগেই ওই গাড়ি বিক্রি করে দেন তিনি। তারপর আরও দুই হাত ঘুরে হুন্ডাই আই২০ পৌঁছয় পুলওয়ামার তারিকের কাছে। ইতিমধ্য়েই তাঁকেও আটক করেছে পুলিশ।
