Red Fort Blast: ‘উকসা’ অ্যাপে চলত কথাবার্তা, উমরের আচরণ অনেকদিন ধরেই বাড়াচ্ছিল সন্দেহ! তাও কেন চুপ ছিল পরিবার?

Delhi Blast Update: তদন্তকারীরা উমরের বাড়ি থেকে প্রাপ্ত নথি ঘেঁটে জানতে পেরেছেন, উমর দিনের পর দিন একটি অ্যাপের মধ্যে "উকসা" নামক একটি হ্যান্ডলারের সঙ্গে যোগাযোগ করত। যারা ওই অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করত, তারা তুরস্কের আঙ্কারায় থাকে। এই অ্যাপও আঙ্কারার তৈরি বলেই তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন।

Red Fort Blast: উকসা অ্যাপে চলত কথাবার্তা, উমরের আচরণ অনেকদিন ধরেই বাড়াচ্ছিল সন্দেহ! তাও কেন চুপ ছিল পরিবার?
ফাইল চিত্র।Image Credit source: X

| Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Nov 13, 2025 | 1:16 PM

নয়া দিল্লি: তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে (Delhi Blast)। গতকাল, বুধবারই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, এটা নিছক কোনও বিস্ফোরণ নয়, এটা সন্ত্রাস হামলাই ছিল। এবার দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে তুরস্কের নাম আরও স্পষ্টভাবে জড়িয়ে পড়ল। তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ তুরস্কের দূতাবাসে খোঁজ-খবর করছে উমর সম্পর্কে। এমনটাই সূত্রের খবর।

এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলওয়ামার বাসিন্দা ডঃ উমর নবি দীর্ঘদিন ধরেই আগ্রাসী মৌলবাদী চিন্তাভাবনায় প্রভাবিত হয়ে উঠেছিল। এমনকী, তার মধ্যে ভারতবিরোধী ভাবনাচিন্তাও রীতিমতো প্রকাশ পেতে শুরু করেছিল। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই উমরের বাড়িতে পৌঁছেছেন, সেখানে গিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে আরও পরিষ্কার হয়।

উমরের বাবা-মা তদন্তকারীদের কাছে জানিয়েছেন,উমরের পরিচিত যারা তাঁদের বাড়িতে আসতো, তাদের খুব একটা ভালো চোখে দেখতেন না তাঁরা। রাতের অন্ধকারে বাড়িতে দিনের পর দিন মিটিং করত। তবে তদন্তকারীদের প্রশ্ন ছিল, এত কিছু দেখার পরেও কেন দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত কোনও সংস্থাকে তাঁরা জানাননি? উত্তরে নীরব থেকেছেন উমরের পরিজনরা।

তদন্তকারীরা উমরের বাড়ি থেকে প্রাপ্ত নথি ঘেঁটে জানতে পেরেছেন, উমর দিনের পর দিন একটি অ্যাপের মধ্যে “উকসা” নামক একটি হ্যান্ডলারের সঙ্গে যোগাযোগ করত। যারা ওই অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করত, তারা তুরস্কের আঙ্কারায় থাকে। এই অ্যাপও আঙ্কারার তৈরি বলেই তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। উকাসা শব্দের মানে আরবিতে মাকড়শা।

তদন্তকারীদের হাতে এসেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। প্রাপ্ত নথি অনুযায়ী, ২০২২ সালের মার্চ মাসে উমররা বেশ কয়েকজন মিলে আঙ্কারা গিয়েছিল। তদন্তকারীরা নিশ্চিত, উমর এবং বিস্ফোরণকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া বেশ কয়েকজন সেই দলে ছিল। আঙ্করায় উমর সহ বাকিদের ভারত বিরোধী কার্যকলাপে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করে তোলা হয় এবং ব্রেন ওয়াশ করা হয় বলে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা।

২০২২ সালের মার্চ থেকে জুনের মধ্যে আঙ্কারায় কারা কারা ভারত থেকে গিয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য পেতেই তুরস্ক দূতাবাসে যোগাযোগ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে, তুরস্ক থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ বিভিন্ন হাত ঘুরে উমর এবং তার সঙ্গীদের কাছে এসে পৌঁছত। তারা যে জইশের “মিডল ম্যান” হিসেবে কাজ করত, তা নিয়ে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা।