নয়া দিল্লি: দিল্লিতে এবার বরফ পড়বে! শুনতে অবাক লাগছে! কিন্তু, যে ভাবে তাপমাত্রার পারদ নামছে তাতে হয়ত এরকমই মনে করছে দিল্লিবাসী। শীতল স্থান হিসাবে বিবেচিত সিমলা, মুসৌরির থেকেও এখন ঠান্ডা রাজধানী। মঙ্গলবার ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার সাক্ষী হয়েছে দিল্লি। ফলে এবার রাজধানীর তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নামা অস্বাভাবিক নয়। ফলে এবার দিল্লি তুষারপাতের সাক্ষী হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও আশার কথা শোনাননি আবহবিদরা।
সফদরজং আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এদিন দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। লোধি এলাকার তাপমাত্রা নেমেছে ২ ডিগ্রি সেলিসিয়াস, দিল্লি রিজ এলাকার তাপমাত্রা নেমেছে ২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং অয়নগরের তাপমাত্রা নেমেছে ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা রেকর্ড। এটা ছিল এদিন ভোর সাড়ে ৫টার তাপমাত্রার রেকর্ড। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দিল্লিতে শৈত্যপ্রবাহ চলবে এবং তাপমাত্রা আরও কমবে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
এদিন রাজধানী যে ঠান্ডার সাক্ষী হল, তা এর আগে কখনও দিল্লিবাসী সহ্য করেনি। ফলে এবার রাজধানীতেই তুষারপাত হবে বলে মনে করছেন দিল্লিবাসী। তবে কি দিল্লি কেবলই কনকনে ঠান্ডার সাক্ষী হবে নাকি এবারে তুষারপাতের সাক্ষী হবে?- এমন প্রশ্নও উঠছে দিল্লিবাসীর মনে। যদিও প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়লেও তুষারপাত হবে না বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।
কেন দিল্লি তুষারপাতের সাক্ষী হয়নি?
বিশেষজ্ঞদের মতে, দিল্লির তাপমাত্রা জিরো ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামলেও কখনও তুষারপাতের সাক্ষী হবে না। এর প্রধান কারণ ভৌগোলিক অবস্থান। আবহাওয়ার সঙ্গে ভৌগোলিক অবস্থান বিশেষভাবে জড়িত।
মৌসম ভবনের অধিকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তুষারপাত হল এক ধরনের যেটা মেঘ থেকে সৃষ্টি হয়। দিল্লির মতো সমতল এলাকায় মেঘ জমাট বাঁধতে চায়। যদি শীতের সময় দিল্লির আকাশল হয়ে যায় তাহলে পুরো মেঘ আকাশে ভরে যাবে এবং তাপমাত্রা শোষণ করে নেবে। এছাড়া তুষারপাতের জন্য ভূ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে হওয়া জরুরি। যেটা দিল্লিতে সাধারণভাবে নজিরবিহীন।
তবে তুষারপাত না হলেও কনকনে ঠান্ডা হতেই পারে। এবছর রাজস্থানের চুরু মাইনাস ২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সাক্ষী হয়েছে, যা রেকর্ড। পূর্ব রাজস্থানের ফতেহপুর মাইনাস ৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সাক্ষী হয়েছে।