Arvind Kejriwal: দূষণের ঠেলায় বন্ধ হল স্কুল, ‘একা দিল্লি দায়ী নয়’, সাফাই কেজরীবালের

Delhi Air Pollution: পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে পাশে বসিয়েই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল বলেন, "দিল্লির বায়ুদূষণ ও বাতাসের গুণমান ক্রমাগত খারাপ হওয়া শুধুমাত্র দিল্লি বা পঞ্জাবের মতো কৃষিভিত্তিক রাজ্যের সমস্যা নয়।"

Arvind Kejriwal: দূষণের ঠেলায় বন্ধ হল স্কুল, একা দিল্লি দায়ী নয়, সাফাই কেজরীবালের
সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লি ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।

| Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Nov 04, 2022 | 12:12 PM

নয়া দিল্লি: দূষণ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। ‘অত্যন্ত খারাপ’ পরিস্থিতি দিল্লির বাতাসের। গুণমান ‘গুরুতর’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টের তরফে একাধিক কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ছোট-বড় গাড়ির প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে নির্মাণকাজ বন্ধের মতো একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালও দিল্লির দূষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন। বায়ুদূষণের পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় আগামিকাল, শুক্রবার থেকে দিল্লির প্রাথমিক স্কুলগুলি বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হল।

এদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ঘোষণা করেন, বায়ুদূষণের বিষয়টি মাথায় রেখেই শুক্রবার থেকে দিল্লির সমস্ত প্রাথমিক স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি পঞ্চম শ্রেণি থেকে সমস্ত পড়ুয়াদের ক্লাসের বাইরের যাবতীয় কর্মসূচি বন্ধ রাখা হবে।  কবে থেকে ফের স্কুল চালু হবে, সেই বিষয়ে কিছু জানাননি মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি জানান, দিল্লির বায়ু দূষণ রুখতে ফের একবার জোড়-বিজোড় পদ্ধতিতে গাড়ি চালানো হবে কি না, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছে দিল্লি সরকার।

দীপাবলিতে বাজি পোড়ানো এবং শীতের শুরু থেকেই দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে ফসলের নাড়া পোড়ানোর ফলে যে ব্যাপক বায়ু দূষণের সৃষ্টি হয়েছে, তারই ফল ভুগতে হচ্ছে দিল্লিবাসীকে। ক্রমশ বিষিয়ে উঠছে দিল্লির বাতাস। বিগত দুই দিন ধরে বাতাসের গুণমান ‘গুরুতর’ পর্যায়ে রয়েছে। বাড়ি থেকে বের হলেই চোখ ও গলা জ্বালা করছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন অধিকাংশ দিল্লিবাসী। যদিও মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল দূষণের সম্পূর্ণ দায় নিতে নারাজ। তিনি বলেন, “বায়ুদূষণ শুধুমাত্র দিল্লির সমস্যা নয়, কেন্দ্রের এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত।”

পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে পাশে বসিয়েই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল বলেন, “দিল্লির বায়ুদূষণ ও বাতাসের গুণমান ক্রমাগত খারাপ হওয়া শুধুমাত্র দিল্লি বা পঞ্জাবের মতো কৃষিভিত্তিক রাজ্যের সমস্যা নয়। এই দূষণের জন্য দিল্লি ও পঞ্জাবের আপ সরকারকেই শুধুমাত্র দোষারোপ করা যায় না। কেন্দ্রকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে।”

কেজরীবাল আরও বলেন, “বিগত কয়েকদিন ধরে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় যে হারে দূষণ বেড়েছে, তার জন্য দিল্লি ও পঞ্জাব দায়ী থাকলেও, শুধুমাত্র এই দুই রাজ্যই দূষণের জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী নয়। দিল্লির দূষণে পঞ্জাবেরও কিছুটা ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু এই সময়টা দোষারোপ ও রাজনীতির নয়। দূষণ প্রতিরোধে মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।”

অন্যদিকে দিল্লির বায়ু দূষণ নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে আর্জি করা হয়েছে। পঞ্জাব ও হরিয়ানায় যাতে দ্রুত ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো বন্ধ করা হয়, তার আবেদন জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আগামী সপ্তাহে এই আর্জি শুনতে রাজি হয়েছে।