নয়া দিল্লি: আম আদমি পার্টির বিধায়ক তথা ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান আমানতুল্লাহ খানের গ্রেফতারি নিয়ে এবার মুখ খুললেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী শনিবার বিধায়কের গ্রেফতারি নিয়ে বিজেপিকে নিশান করেন। তাঁর দাবি, আপ নেতাদের ভাঙানোর জন্য বিজেপি ‘অপারেশন লোটাস’ প্রক্রিয়া জারি রেখেছে।
আমানাতুল্লাহ খান দিল্লির ওখলা থেকে নির্বাচিত আম আদমি পার্টির বিধায়ক। শুক্রবার আপ বিধায়ককে গ্রেফতার করে অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে নিশানা করে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী টুইটে বলেন, “প্রথমে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করা হল, কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে কোনও প্রমাণ নেই। আমার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হল, কিন্তু সেখান থেকেও কিছু পাওয়া যায়নি। কৈলাশ গেহলটের বিরুদ্ধে ভুয়ো তদন্ত শুরু করা হল। এখন আমানাতুল্লাহ খানকে গ্রেফতার করা হল। আম আদমি পার্টির প্রত্যেক নেতাকে ভাঙানোর জন্য অপারেশন লোটাস জারি রয়েছে।”
বেশ কয়েকদিন ধরেই বিজেপির বিরুদ্ধে অপারেশন লোটাস চালানোর অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। তাদের অভিযোগ ছিল আপ বিধায়কদের কেনার জন্য তাদের ২০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দিল্লির অরবিন্দ কেজরীবাল সরকারকে ফেলার জন্য বিজেপি চেষ্টা চালাচ্ছে, এমন অভিযোগই আপের তরফে তোলা হয়েছিল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর অরবিন্দ কেজরীবাল এই নিয়ে বিধানসভায় আস্থা ভোট হয়েছিল। এরপর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘অপারেশন লোটাস’ দিল্লিতে ব্যর্থ হয়েছে।
অরবিন্দ কেজরীবাল সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, শুধুমাত্র দিল্লিই নয় পঞ্জাবেও আম আদমি পার্টি সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিধায়কদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলেই জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই অভিযানের পর থেকে রাজধানীর রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত। আগামী দিনে দিল্লির রাজনীতি কোনদিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।