Mahua Moitra Cash For Query: শুনানি শেষ, রায় স্থগিত! মহুয়ার ‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের’ মামলায় কাটল না অস্বস্তি

Cash For Query Case: এদিন বিচারপতি অনিল ক্ষেত্রপাল এবং বিচারপতি হরিশ বৈদ্যনাথ শঙ্করের ডিভিশন বেঞ্চে চলছিল মহুয়ার আবেদনের শুনানি। আদালতে লোকপালের দেওয়া নির্দেশ বাতিলের আবেদন জানায় মহুয়ার সওয়ালকারী নিধেশ গুপ্তা। সেই সঙ্গে লোকপালের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের দাবি জানানো হয়। তাঁর যুক্তি, লোকপালের দেওয়া নির্দেশে ত্রুটি রয়েছে।

Mahua Moitra Cash For Query: শুনানি শেষ, রায় স্থগিত! মহুয়ার ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের মামলায় কাটল না অস্বস্তি
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রImage Credit source: PTI

|

Nov 21, 2025 | 5:50 PM

নয়াদিল্লি: না পেলেন সুরাহা। না কাটল অস্বস্তি। শুক্রবার মহুয়া মৈত্রের করা মামলায় রায়দান স্থগিত রাখল দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সম্প্রতি ‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের’ মামলায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে সিবিআই-কে চার্জশিট পেশ করার অনুমতি দিয়েছিল লোকপাল। এরপরেই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া।

এদিন বিচারপতি অনিল ক্ষেত্রপাল এবং বিচারপতি হরিশ বৈদ্যনাথ শঙ্করের ডিভিশন বেঞ্চে চলছিল মহুয়ার আবেদনের শুনানি। আদালতে লোকপালের দেওয়া নির্দেশ বাতিলের আবেদন জানান মহুয়ার সওয়ালকারী নিধেশ গুপ্তা। সেই সঙ্গে লোকপালের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের দাবি জানানো হয়। তাঁর যুক্তি, লোকপালের দেওয়া নির্দেশে ত্রুটি রয়েছে। তাই যত দিন না বিষয়টি দিল্লি হাইকোর্টে বিচারাধীন, ততদিন পর্যন্ত সিবিআই যেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করে, তা নিশ্চিত করা হোক।

অন্যদিকে সিবিআইয়ের আইনজীবী এএসজি এসভি রাজু যুক্তি, ‘লোকপালের সামনে তাঁর সমস্ত মন্তব্য শোনা হয়েছিল। তাই এই মুহুর্তে তাঁর নতুন করে হাইকোর্টে নথি উপস্থাপনের কোনও অধিকার নেই। তবে উনি মৌখিক ভাবে নিজের যুক্তি দিতেই পারেন।’ দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতিরা বলেন, ‘যুক্তি শোনা হল, তবে রায় আপাতত স্থগিত থাকল।’ পাশাপাশি, সিবিআইয়ের চার্জশিট জমা নিয়ে লোকপালের দেওয়া নির্দেশেও কোনও অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ।

বলে রাখা প্রয়োজন, মহুয়ার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার জন্য এখন সিবিআইকে অনুমতি দেয়নি লোকপাল। ১২ নভেম্বরের নির্দেশে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের লোকপাল আইনের ধারা ২০(৭) এবং ধারা ২৩(১) অনুযায়ী, সিবিআইকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা করতে হবে। চার্জশিট জমা দেওয়ার পরেই সিবিআইয়ের দ্বিতীয় আবেদনটি বিবেচনা করা হবে। তার আগে কোনও ভাবে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে না।