নয়া দিল্লি: প্রত্যাহার করা হবে ১০০ টাকার বেশি মূল্যের সমস্ত ব্যাঙ্ক নোট? বুধবার (৩ মে) এই বিষয়ে কেন্দ্র এবং দিল্লি সরকারের অবস্থান জানতে চাইল দিল্লি হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, দুর্নীতি রোধে নগদের লেনদেন ১০,০০০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ করা এবং ৫০,০০০-এর বেশি মূল্যের সকল সম্পদকে আধারের সঙ্গে লিঙ্ক করার আবেদনের বিষয়েও দুই সরকারের অবস্থান জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টে করা আবেদনে বলা হয়েছে, দুর্নীতি, কালো টাকা, তহবিল তছরুপ, বেনামি লেনদেন এবং বেহিসেবি সম্পদ আহরণ প্রতিরোধের এটাই বাস্তবোচিত সমাধান। এই আবেদনে অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্টের মতো অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্মের পণ্য এবং পরিষেবাগুলি কেনার ক্ষেত্রেও নগদের লেনদেন সীমাবদ্ধ করার দাবি করেছে।
দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জানিয়েছে, অগস্ট মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তার মধ্যে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারকে জবাব দিতে হবে। তবে এই বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও নোটিশ জারি করা হয়নি। কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারের আইনজীবীদের এই বিষয়ে আদালতকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় নামে এক আইনজীবী এই আবেদন করেছেন। আ্বেদনে বলা হয়েছে, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর এবং একটি সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার ৭৩ বছর পরও, দেশের একটিও জেলা ঘুষ, কালো টাকা, বেনামি লেনদেন, বেহিসেবি সম্পদ, কর ফাঁকি, তহবিল তছরুপের মতো দুর্নীতির থেকে মুক্ত নয়। একইভাবে জমি মাফিয়া, মাদক-মদ মাফিয়া, খনি মাফিয়া, বদলি-পোস্টিং মাফিয়া, তোলাবাজ মাফিয়া, টেন্ডার মাফিয়া, হাওয়ালা মাফিয়া, অবৈধ অভিবাসন মাফিয়া, ধর্মান্তর মাফিয়া, কুসংস্কার এবং কালো জাদু মাফিয়া এবং রাজনৈতিক মাফিয়াদের কবল থেকে মুক্ত নয় কোনো জেলা। পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ প্রশাসন ছাড়া এগোতে পারবে না ভারত। এর জন্য একটি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রয়োজন। আবেদনকারী সমস্ত কালো টাকা, অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ এবং বেনামি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার এবং ‘লুন্ঠনকারীদের’ সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার দাবি করেছেন।