নয়া দিল্লি: নববর্ষের রাতের বীভৎস স্মৃতি ফের ফিরে এল। ফের একবার দিল্লিতে ধাক্কা মেরে গাড়িতে করে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটল। নববর্ষের রাতে যেভাবে অঞ্জলি সিং নামক বছর ২০-র এক যুবতীর স্কুটিতে ধাক্কা মেরে প্রায় ১২ কিলোমিটার টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁর দেহ, ঠিক সেভাবেই এক ব্যক্তিকে একইভাবে ধাক্কা মারা হল। এবারের ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম দিল্লিতে। পথচলতি এক ব্যক্তিকে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। গাড়ির বনেটের উপরে আছড়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। ওই অবস্থাতেই আহত ব্যক্তিকে প্রায় অর্ধেক কিলোমিটার অবধি টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার।
প্রত্য়ক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম দিল্লির রাজৌরি গার্ডেন এলাকায়। হরবিন্দর কোহলি নামক এক ব্যক্তিকে আচমকাই ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। ছিটকে মাটিতে পড়া থেকে বাঁচতে তিনি গাড়ির উইন্ডশিল্ড আকড়ে ধরেন। সেই অবস্থাতেই আহত ব্যক্তিকে টেনে অর্ধেক কিলোমিটার টেনে নিয়ে যাওয়া হয়।
A person in a car hit a young man in Delhi’s Rajouri Garden area and dragged him on the bonnet for half a kilometre. pic.twitter.com/BnTDEp0R1t
— Nikhil Choudhary (@NikhilCh_) January 14, 2023
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত হরবিন্দর কোহলি তাঁর বন্ধু জয়প্রকাশের গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। তিনি সামনের একটি গাড়িকে একাধিকবার হর্ন দেন রাস্তা ছাড়ার জন্য। কিন্তু সামনের গাড়ি কিছুতেই রাস্তা ছাড়ছিল না। এরপরে ওই ব্যক্তি কোনওমতে গাড়িটিকে ওভারটেক করে। এতেই ক্ষেপে যান ওই ব্যক্তি। তিনি কোহলির গাড়িটিকে ওভারটেক করেন এবং রাস্তা আটকে দাঁড়ান। দুইজনের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয়। হরবিন্দর কোহলি নামক ওই ব্যক্তি বচসা থামাতে গেলে, ওই ব্যক্তি গাড়িতে ঢুকে সোজা ধাক্কা মারেন। গাড়ির বনেটের উপরে আছড়ে পড়েন হরবিন্দর কোহলি, তাঁকে ওই অবস্থাতেই টেনে নিয়ে যান ওই ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির বাবা তাঁকে উসকান ধাক্কা মারার জন্য। এরপরই তিনি গাড়িতে ঢুকে সোজা বচসাকারীদের উপরে গাড়ি চালিয়ে দেন। ধাক্কা মারেন হরবিন্দরকে। প্রায় ৫০০ মিটার টেনে নিয়ে যাওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। অন্যান্য ব্যক্তিরাও গোটা ঘটনাটি দেখতে পান। তারা ওই গাড়িটিকে ধাওয়া করে পথ আটকান। প্রত্য়ক্ষদর্শীরা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মারধর করতে গেলে, তিনি ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যান।
আহত ব্যক্তির দাবি, সিসিটিভি ফুটেজ সহ তিনি পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলেও, তাঁকে বারবার ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। চারবার লিখিত অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ পদক্ষেপ করে। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে অভিযুক্তরা গোটা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন। যদিও পুলিশের তরফে তদন্তে গড়িমসির অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।