নয়া দিল্লি: ইডির হাত থেকে এত সহজে নিস্তার পাচ্ছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। আরও কিছুদিন ইডির হেফাজতেই থাকতে হবে তাঁকে। এ দিন সত্য়েন্দ্র জৈনকে আদালতে তোলা হলে, তাঁকে আগামী ১৩ জুন অবধি ইডির হেফাজতেই থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গত ৩০ মে গ্রেফতার করা হয় দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, কলকাতার একটি হাওয়ালা সংস্থার মাধ্যমে ৪.৮১ কোটি টাকা আয় করেছিলেন সত্যেন্দ্র জৈন, যার হিসাব দেখাতে পারেননি তিনি। আয়-ব্যয়ের অসঙ্গতির পরই সিবিআইয়ের এফআইআরের ভিত্তিতে ইডি সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করে এবং তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়।
ইডির দাবি, সত্যেন্দ্র জৈনের কাছে ১৬.৩৯ কোটি কালে টাকা ছিল, যা তিনি দিল্লির নানা সংস্থায় বিনিয়োগ ও জমি কেনার মাধ্যমে সাদা টাকায় পরিণত করেছিলেন। কৃষি জমি কেনার জন্য ঋণও পরিশোধ করেছিলেন।
৩০ মে সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতারের পরই আদালতের তরফে ৯ জুন অবধি ইডির হেফাজতে পাঠানো হয়। এ দিন সকালে সত্যেন্দ্র জৈনকে আদালতে তোলা হলে আগামী সোমবার অবধি তাঁকে ইডির হেফাজতেই পাঠানো হয়।
ইডির তরফে জানানো হয়েছে,সম্প্রতিই সত্যেন্দ্র জৈনের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। সেই তল্লাশি অভিযানে একাধিক ডিজিটাল রেকর্ড ও তথ্য পাওয়া গিয়েছে,যা আর্থিক দুর্নীতির দিকেই ইঙ্গিত দেয়।
অন্যদিকে, সত্যেন্দ্র জৈনের আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতে দাবি করেন যে তদন্তকারী সংস্থার কাছে এমন কোনও প্রমাণ নেই, যার ভিত্তিতে সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে তদন্ত করা যায়। যদিও আদালতের তরফে সত্যেন্দ্র জৈনের এই আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয় এবং ইডির আবেদন অনুযায়ীই আরও পাঁচ দিন তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
গ্রেফতারির পর মন্ত্রিত্ব বজায় থাকলেও, তাঁর হাতে কোনও দফতরের দায়িত্বই ছাড়া হয়নি। গত ২ জুনই সত্যেন্দ্র জৈনের দায়িত্বে থাকা যাবতীয় দফতর দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার হাতে তুলে দেওয়া হয়।