নয়া দিল্লি: রাজধানী দিল্লি থেকে দুই পাকিস্তানিকে (Pakistani) গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। সোমবার রাতে তাদের গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের। জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ওই দুই ব্যক্তি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। দিল্লি সহ ভারতের একাধিক জায়গায় তারা হামলার জন্য ছক কষছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একে-৪৭, হ্যান্ড গ্রেনেডের মতো অস্ত্র। দিল্লির রমেশ পার্ক ও লক্ষ্মী নগর এলাকা থেকে গতকাল রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ মহম্মদ আশরাফ ও উমারউদ্দিন নামে দুই সন্দেহভাজনকে স্পেশাল সেল গ্রেফতার করে।
এই দু’জনের কাছ থেকে পাকিস্তানের পরিচয় পত্র পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে আলি আহমেদ নুরী নামে ভুয়ো পরিচয় পত্র নিয়ে ভারতে বসবাস করছিল এক জঙ্গি। পুলিশ সূত্রে খবর, এরা পুরনো দিল্লিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিল। এদের কাছে পাওয়া গিয়েছে একটি হ্যান্ড গ্রেনেড, একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল, ৫০ রাউন্ডগুলি সহ দুটি পিস্তল। এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
গত কয়েক দিনে দেশে বেড়েছে জঙ্গি কার্যকলাপ। চলছে উৎসবের মরশুম, সামনেই দিওয়ালি, এর মধ্যে রাজ্যে হামলার ছক চলছিল কিনা, সেটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দিন তিনেক আগেই সন্ত্রাস বিরোধী কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সেই বিষয়ে আলোচনা করতে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা।
এ দিকে ভোরের আলো ফুটতেই ফের গুলির লড়াই শুরু হয়েছে উপত্যকায়। একের পর এক জঙ্গিহানায় জম্মু-কাশ্মীরবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই কারণেই কড়া হাতে জঙ্গি দমনের কাজ শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী (Security Forces)। মঙ্গলবার ভোর থেকেই ফের এনকাউন্টার শুরু হল জম্মু-কাশ্মীরের(Jammu Kashmir) সোপিয়ানে (Shopian)। শেষ খবর পাওয়া অবধি, তিন লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba)জঙ্গিকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
কাশ্মীর জ়োন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গোপন সূত্রে জঙ্গি উপস্থিতির খবর মিলতেই এ দিন ভোরে সোপিয়ানে হাজির হয় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। তল্লাশি অভিযান শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় গুলির লড়াই। যে তিনজন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে, তারা লস্কর গোষ্ঠীর প্রতিরোধ বাহিনী(Resistancer Front)-র সদস্য। তবে তাদের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এনকাউন্টার শুরুর পরই গোটা অঞ্চল ঘিরে ফেলা হয়েছে। এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে বলেই জানা গিয়েছে। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। গতকালও চলে এনকাউন্টার। এক জঙ্গিকে খতম করে সেনা। পরে গুলির লড়াই চলাকালীন মৃত্যু হয় এক সেনা অফিসার সহ পাঁচ জওয়ানের।
আরও পড়ুন: Corona OutBreak: উৎসবের মরশুমে দেশে স্বস্তি! প্রায় সাত মাস পর সংক্রমণ ১৫ হাজারের নিচে