
নয়া দিল্লি: একেই বন্যা পরিস্থিতি, তার উপরে আরও বিপদ বাড়াল বৃষ্টি (Rainfall)। যমুনা নদীর (Yamuna River) উপচে পড়া জলে যখন প্লাবিত হচ্ছে দিল্লি (Delhi), সেই সময়ই শনিবার রাজধানী আরও এক পশলা ভারী বৃষ্টিতে ভাসল। ফলে নতুন করে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে দিল্লির একাধিক এলাকা। যেখানে আগে থেকেই জল জমেছিল, সেখানে ভারী বৃষ্টির কারণে জমা জল আরও বেড়েছে। তৈরি হয়েছে ব্যাপক যানজট। এদিকে, আবুধাবি থেকে ফিরেই দিল্লির বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা (VK Saxena) জানান, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ফোন করে দিল্লির পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান।
জমা জলে এমনিই বিপদে পড়েছিল দিল্লি। শনিবার নতুন করে বৃষ্টিতে সেই বিপদ আরও বেড়েছে। একাধিক রাস্তাঘাট যেমন বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তেমনই জমা জলে ব্যাপক যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে আরও জটিল না হয়, তার জন্য সঙ্গে সঙ্গে কাজে নামেন দিল্লি প্রশাসনের আধিকারিকরা। যে রাস্তাগুলি সম্পূর্ণ জলমগ্ন হয়ে রয়েছে, সেখান থেকে জল বের করার কাজ শুরু হয়। যেসমস্ত জায়গায় কোমর বা বুক সমান জল জমেছে, সেখান থেকে সাধারণ মানুষ ও প্রাণীদের উদ্ধার করে আনা হচ্ছে। মিরট থেকে দুটি টাস্ক ফোর্সও আনা হয়েছে দিল্লির বন্যা পরিস্থিতি সামলানোর জন্য।
এদিকে, হরিয়ানার হাথনি কুণ্ড ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় ক্রমাগত জলস্তর বেড়েই চলেছে যমুনা নদীর। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে জল। শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল আশ্বাস দিয়ে জানান, যমুনা ব্যারেজের পাঁচটি গেটই খোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ার কারণে বেশ কিছু গেট আটকে রয়েছে। যদি বৃষ্টি না হয়, তবে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলেই তিনি জানিয়েছিলেন।