Biological War: বাড়ছে বিপদ, ভারতে বায়োলজিক্যাল হামলা হলে কোথায় সুরক্ষিত থাকবেন?

Delhi Terror Attack: সোমবার রাতে দিল্লিতে ঠিক কী করতে চাইছিল জঙ্গিরা? দেশের অন্য শহরেও আর কী, কী ঘটানোর প্ল্যান ছিল? গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ, জৈব সন্ত্রাস, রাসায়নিক যু্দ্ধ নাকি একইসঙ্গে সবকিছু? রেসিনের মতো প্রাণঘাতী জৈব খাবারে বা জলে মিশিয়ে যদি নাশকতার চেষ্টা হয়?

Biological War: বাড়ছে বিপদ, ভারতে বায়োলজিক্যাল হামলা হলে কোথায় সুরক্ষিত থাকবেন?
ফাইল চিত্র।Image Credit source: PTI

|

Nov 20, 2025 | 9:52 AM

নয়া দিল্লি: বদলাচ্ছে সন্ত্রাসের সংজ্ঞা। আর শুধু জঙ্গি হামলা নয়, এখন ঝুঁকি বাড়ছে জৈব নাশকতা, রাসায়নিক নাশকতার। যেভাবে ভারতের পাশে শত্রু বাড়ছে, তাতে এই বিপদ যেকোনও মুহূর্তেই ঘটতে পারে। এমন যুদ্ধ বাধলে, বা হামলা হলে সাধারণ মানুষ কীভাবে রক্ষা পাবে?

একটা ঘটনা ২৪ বছর আগের। আরেকটা মাত্র ৪ বছর পুরনো। প্রথমটা, ২০০১ সালে সুব্রহ্মণ্যম কমিটি রিপোর্ট। দ্বিতীয়টা ভারতীয় সেনার নিউ এজ ওয়ারফেয়ার গ্রুপের সুপারিশ। কার্গিল যুদ্ধের পর দেশে নিরাপত্তা ঢেলে সাজাতে ৩২ দফা পরামর্শ দিয়েছিল সুব্রহ্মণ্যম কমিটি। এখানে বলা হয়েছিল, ঘরে- বাইরে শক্ররা খুব সহজে ভারতে যা খুশি ঘটাতে পারে। ঘটাচ্ছেও। তার একটা বড় কারণ, দেশের নিরাপত্তা এজেন্সিগুলির মধ্যে সমন্বয় নেই।

২০২১ সালের ডিসেম্বর। কোভিড আবহে তত্‍কালীন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপীন রাওয়াত নির্দেশ দিয়েছিলেন, ভারতীয় সেনাকে বায়োলজিক্যাল যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। জেনারেল রাওয়াতের বলেছিলেন, জৈব হামলা বা নাশকতা বাদ দিয়ে এখন আর যুদ্ধ-প্রস্তুতি সম্ভব নয়। দেশের ভিতরে জৈব হামলা হলে, সেই হামলার মুখে পড়তে হবে আমজনতাকেও। এটা আটকানো কঠিন। তবে অসম্ভব নয়। সেই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে।

কয়েক হাজার কেজির বিস্ফোরক উদ্ধার হল। সোমবার রাতে দিল্লিতে ঠিক কী করতে চাইছিল জঙ্গিরা? দেশের অন্য শহরেও আর কী, কী ঘটানোর প্ল্যান ছিল? গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ, জৈব সন্ত্রাস, রাসায়নিক যু্দ্ধ নাকি একইসঙ্গে সবকিছু? রেসিনের মতো প্রাণঘাতী জৈব খাবারে বা জলে মিশিয়ে যদি নাশকতার চেষ্টা হয়? বা জঙ্গিরা যদি সোরিনের মত তৈলাক্ত জিনিস ফল বা সবজির গায়ের মাখিয়ে মানুষ মারার ছক কষে, তা হলে কী হবে?

যে বিষয়গুলি উঠে এসেছে, তার মধ্যে প্রথম হল, জৈব যুদ্ধের মোকাবিলার ব্যাপারে ভারত কার্যত নিধিরাম সর্দার। সব রাজ্যেই কমবেশি একই অবস্থা। ভারতীয় সেনার নিউ এজ ওয়ারফেয়ার গ্রুপ বরং বহুদিন ধরে এই ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাও খুব বড় আকারে নয়। বিরাট এলাকায় আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে, সেনা কাজে নামার আগেই হয়তো বড় বিপদ ঘটে যাবে। অথচ বায়োলজিক্যাল ওয়ারফেয়ারের প্রথম কথাই হল, বিপদের সূত্র ও সম্ভাবনাকে শুরুতেই নির্মূল করা।

দ্বিতীয়ত, খোলামেলা ঘরে, পুরনো আমলের বাড়িতে বিপদের সম্ভাবনা অনেক কম। খাবারে বিষক্রিয়া থেকে হয়তো এটা বাঁচাবে না। কিন্তু অন্য অনেক বিপদ থেকে বাঁচাবে। সেই পরিস্থিতি সত্যিই কোনওদিন এলে পুরনো বাড়ির খোঁজে ছোটাছুটি করতে হবে আমাকে- আপনাকে।