নয়া দিল্লি: গাজিয়াবাদে একটি খেলনার কারখানায় কাজ করেন। সেখান থেকেই স্কুটারে বাড়িতে ফিরছিলেন দিল্লির যুবতী। মাঝপথে তাঁর পুরুষসঙ্গী ওই যুবতীর স্কুটারে ওঠেন। কিছুটা যাওয়ার পর দিল্লির বাসিন্দা কয়েকজন তাঁদের পথ আটকায় এবং তাঁদের মারধর করে বলে অভিযোগ। তবে তাঁরা অভিযুক্তদের সঙ্গে একই সম্প্রদায়ের হওয়ায় রেহাই পেয়ে যান। এই ঘটনাটি যেখানে ঘটে, তার কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই যুবতীর এক বান্ধবী। এরপর অভিযুক্তরা তাঁর পিছু ধাওয়া করে এবং এক নির্জন স্থানে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে গেলে দু-পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলে। ঘটনাটি ঘটেছে গাজিয়াবাদের ট্রনিকা সিটি এলাকায়।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে পুলিশের কাছে নির্যাতিতা বলেন, “আমি রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ করেই কয়েকজন আমার দিকে তেড়ে আসে। আমি কিছু বোঝার আগেই তারা আমাকে তুলে নিয়ে যায়। আমি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করি এবং পুলিশে ফোন করি। কিন্তু, তিনজন মিলে আমাকে গণধর্ষণ করে। আমি চিৎকার করি, কিন্তু, কেউ আমাকে বাঁচাতে আসেনি।” পরে তাঁর এক বন্ধু গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং তাঁর সঙ্গে বাড়ি ফেরেন নির্যাতিতা।
ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাতে ঘটলেও রবিবার অভিযুক্ত কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ডিসিপি (গ্রামীণ) বিবেক যাদব জানান, যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়। রবিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ তাদের গ্রামে যায়। কিন্তু, পুলিশ দেখা মাত্রই অভিযুক্তরা গুলি ছোড়ে। পুলিশকর্মীরাও পাল্টা গুলি ছোড়েন এবং এক অভিযুক্তের পায়ে গুলি লাগে। তারপরই ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। তার মধ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে যুবতীকে ধর্ষণ ও দুজনের বিরুদ্ধে তাঁকে অনুসরণ করার মামলা দায়ের হয়েছে।