নয়া দিল্লি: প্রকাশ্য রাস্তায় ২০ বছর বয়সি এক যুবককে বেধড়ক মারধর করে ছুরি দিয়ে কোপানো (Stabbed) হল। আর পথচলতি লোকজন রাস্তায় দাঁড়িয়ে সেই ঘটনা ঘটল। বাধা দেওয়ার চেষ্টাও করল না। ওই যুবককে এমনভাবে কোপানো হয় যে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেও বাঁচানো যায়নি। আর যারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ, তারা সকলেই নাবালক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির (Delhi) সঙ্গম বিহার এলাকায়। পরে অবশ্য সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সকলকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম দিলশাদ (২০)। দিল্লির সঙ্গম বিহার এলাকার বাসিন্দা দিলশাদের সঙ্গে ওই নাবালকদের একটি পুরানো বিবাদ ছিল এবং তার জেরেই ওই যুবক হামলার শিকার হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। ডিসিপি চন্দন চৌধরী জানান, এই ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ৮ জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। যে ছুরি দিয়ে ওই তরুণকে কোপানো হয়েছিল, সেটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সঙ্গম বিহার এলাকার বাসিন্দা, ওই যুবক ও তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে স্থানীয় একটি ডিজে দলের বিবাদ ছিল। গত শনিবার রাতে সেই বিবাদের জেরেই ওই ডিজে দলের সদস্যদের হামলার শিকার হন ওই যুবক। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ৭-৮ জন কিশোর ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করতে-করতে একটি সংকীর্ণ গলির ভিতর নিয়ে আসে। তারপর ছুরি দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপ মারে। পরপর ছুরির কোপে রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন অনেক পথচারী এবং কয়েকজন মোটরবাইক আরোহী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু, তাঁরা কেউ বাধা দিতে এগোননি, বরং রাস্তায় দাঁড়িয়ে সেই নৃশংস ঘটনা দেখছিলেন বলে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে।
পরে এই ছুরি হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং রক্তাক্ত যুবককে উদ্ধার করে মাজিদা হাসপাতালে ভর্তি করায়। তাঁর দেহে একাধিক ছুরির ক্ষত হয়েছিল। মাজিদা হাসপাতালে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবু তাঁকে বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনার পর অবশ্য সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা সকলেই সঙ্গম বিহার এলাকার বাসিন্দা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।