নয়া দিল্লি: সন্তান বাবা-মায়ের কাছে অমূল্য সম্পদের মতো। ছোটবেলা থেকে সব শখ বিসর্জন দিয়ে তিলে তিলে ছেলেমেয়েকে বড় করে মা বাবারা। নিজেদের অপূর্ণ স্বপ্ন তাদের সন্তান পূর্ণ করবে এই আশায় বুক বেঁধে কত কিছুই না করতে হয় বাবা-মায়েদের। কিন্তু সেই বাবা-মা যদি নয়নের মণির মতো আগলে রাখা সন্তানকে চিরতরে হারিয়ে ফেলে তবে তার থেকে মর্মান্তিক আর কী বা হতে পারে। অনেকই ধাক্কাটা সামলে উঠতে পারেনা। কেউ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে কেউ বা আবার নিজেদের সবার থেকে দূরে সরিয়ে নেয়।
কোয়েম্বাটুরের ঘটে যাওয়া এক ঘটনা নিঃসন্দেহে আপনার মন ভারাক্রান্ত করতে বাধ্য। নিজেদের ১৪ বছরের ছেলের মৃত্যুর ধাক্কা সামলাতে না পেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক দম্পতি। সোমবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। কোয়েম্বাটুরের সুলুর গ্রামের বাসিন্দা ৩৬ বছর বয়সী ভি সত্যরাজ এবং তাঁর স্ত্রী এস সারন্যার ১৪ বছর বয়সী এক পুত্র সন্তান ছিল। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়া ওই কিশোর। এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন সত্যরাজ। সোমবার সকালে ওই দম্পতিকে বাড়ির বাইরে বেরতে না দেখে প্রতিবেশিদের সন্দেহ হয়। তারা সঙ্গে বাড়ির দরজা ধাক্কা দিতে শুরু করেন কিন্তু কোনও সাড়া না মেলায় দরজা ভাঙতে তাঁরা বাধ্য হন।
দরজা ভেঙেই তাঁরা সত্যরাজকে বাড়ির ছাদ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন এবং তাঁর স্ত্রীকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মৃতদেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য কোয়েম্বাটুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে যে, আদতে মাইসোরের বাসিন্দা হলেও ১৫ বছর আগে তারা সুলুরে থাকা শুরু করেছিলেন। সিআরপিসির ১৭৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : Russia-Ukraine Conflict: ‘এক ঢিলে দুই পাখি’, সংঘাতের আবহে ইউক্রেনের বিদ্রোহীদের ইন্ধন পুতিনের
আরও পড়ুন : India’s help to Afghan: তালিবান রাজেও দায়িত্ব বোধের পরিচয়, আফগানদের ‘খিদে মেটাবে’ ভারত