
নয়া দিল্লি: দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিব প্রকাশ ও বিনোদ তাওড়ে ছাড়া আর কোনও উল্লেখযোগ্য নেতার সঙ্গেই দেখা হল না দিলীপ ঘোষের। শনিবার সকালে কলকাতায় ফিরছেন তিনি। সূত্রের খবর, সংসদের বাদল অধিবেশন চলাকালীন ফের আসতে পারেন দিল্লিতে।
তিন দিন দিল্লি সফরের পর নির্দিষ্টভাবে কার কার সঙ্গে দেখা হল, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তর অত্যন্ত সচেতনভাবে এড়িয়ে যেতে দেখা গেল দিলীপ ঘোষকে। শুধুই জানালেন, বন্ধু-বান্ধব পার্টি নেতৃত্ব বহু লোকের সঙ্গে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে তাঁর। কিন্তু তাঁরা কারা, তাঁদের নাম স্পষ্ট করেননি তিনি। নতুন দায়িত্বে দেখা যাবে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “সেটা পার্টি ঠিক করবে। দেখা যাক।”
তবে সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসালের দেখা করেন বাংলার সদ্য নির্বাচিত বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, শমীকের কাছে দিলীপ ঘোষ সম্পর্কে জানতে চান বনসাল। তিনি দিল্লিতে কী করছেন, তাঁর ভূমিকা, তা জানতে চান বনসাল।
দিল্লি সফরের শেষ দিনে শুক্রবার সকালে দিল্লির সি আর পার্কের কালীবাড়িতে সস্ত্রীক পুজো দেন দিলীপ। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি জানান, বাংলার পরিবর্তন, উন্নতি, শান্তির জন্য প্রার্থনা করেছেন তিনি। নিজের জন্য কী চাইলেন? সে প্রশ্নে দিলীপের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, “সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে যেন এগোতে পারি।”
বুধবার দিল্লি থেকেই দিলীপ জানিয়েছিলেন, দলের বৈঠকে নাকি তাঁকে চেয়ারই দেওয়া হত না। তাঁকে দল থেকে সরানোর জন্য অনেকে অনেক রকম চেষ্টাও করেছেন। গত কয়েক মাসে দলের কাজে সেভাবে সক্রিয়ও থাকতে দেখা যায়নি দিলীপ ঘোষকে। দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের পর থেকে দলের অন্দরেই সমালোচিত হতে হয়েছে তাঁকে। দলের নতুন সভাপতি নির্বাচনের পর মঞ্চেও দেখা যায়নি তাঁকে। পরে অবশ্য শমীকের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। এদিন দলের ঐক্যের প্রশ্নে দিলীপ বলেন, “দল শক্তিশালী হচ্ছে, পুরনো কর্মীরাও সক্রিয় হচ্ছেন। যত নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসবে,আরও দেখতে পাবেন।” ছাব্বিশের নির্বাচনে শমীকের জমানায় দিলীপ আবার পুরনো ফর্মে ফেরেন কিনা, সেটার দেখার।