
নয়া দিল্লি: চলতি বছর ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে হিমাচল প্রদেশ। মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাসের ঘরের মতো নিমেষের মধ্যে ধসে গিয়েছে ঘর-বাড়ি, মন্দির, সেতু, রাস্তা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে, এই দুর্যোগকে রাষ্ট্রীয় বিপর্যয় ঘোষণা করেছে হিমাচল সরকার। কিন্তু, কেন এই পরিস্থিতি হল হিমাচলের? অতিরিক্ত নির্মাণ ও পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধিই কি এই বিপর্যয়ের কারণ? এমন প্রশ্নই উঁকি দিচ্ছে সকলের মনে। তবে এবার এই বিপর্যয়ের অন্য এক কারণ শোনালেন আইআইটি মান্ডির ডিরেক্টর লক্ষ্মীধর বেহরা। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
হিমাচল প্রদেশের দুর্যোগের কারণ সম্পর্কে কী জানালেন আইআইটি কর্তা?
আইআইটি মান্ডির ডিরেক্টর লক্ষ্মীধর বেহরা বলেন, “হিমাচল প্রদেশের চরম পতন ঘটবে…যদি আমরা প্রাণী হত্যা বন্ধ না করি। আপনি সেখানে পশুদের হত্যা করছেন…পশুরা নিরীহ প্রাণী। পরিবেশের অবনতির সঙ্গে এর একটি পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে… যেটা আপনারা এখন দেখতে পাচ্ছেন না, কিন্তু আছে…।” আইআইটি কর্তা আরও বলেন, “বারবার ভূমিধস, মেঘ বিস্ফোরণ এবং আরও অনেক কিছু হচ্ছে, এগুলো সবই পশুদের উপর নিষ্ঠুরতার প্রভাব… মানুষ মাংস খায়।”
ইনস্টিটিফটের ছাত্রদের ভিডিয়ো কনফারেন্সেই হিমাচল প্রদেশে দুর্যোগের কারণ সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য করেন আইআইটি মান্ডির ডিরেক্টর লক্ষ্মীধর বেহরা। তাঁর এই বক্তব্য এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। হিমাচলে দুর্যোগের কারণ ব্যাখ্যা করেই থেমে থাকেননি বেহরা। ছাত্রদের মাংস না খাওয়ারও আবেদন জানান তিনি। বলেন, “ভালো মানুষ হতে হলে কী করতে হবে? মাংস খাওয়া যাবে না”
বেহরার এই ধরনের মন্তব্যের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই তীব্র সমালোচনা করেছেন নেটিজেনরা। আইআইটি দিল্লি-র আধিকারিক সন্দীপ মানুধানে পাল্টার কমেন্ট, “পতন সম্পূর্ণ। ৭০ বছরে যা কিছু তৈরি হয়েছিল তা ধ্বংস করে দেবে এই কুসংস্কারাচ্ছন্ন মূর্খরা।” আবার বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে আইআইটি মান্ডির ডিরেক্টরের এই মন্তব্য ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক গৌতম মেনোন।
বেহরার বিতর্কিত মন্তব্য অবশ্য এটাই প্রথম নয়। গত বছরও তিনি বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন। সেবার তিনি বলেছিলেন, তিনি ‘পবিত্র মন্ত্র’ উচ্চারণ করে বন্ধুর অ্যাপার্টমেন্ট এবং পরিবার থেকে ‘অশুভ আত্মা’ বের করেছিলেন।