Women’s Rights on Father’s Property: বাবার সম্পত্তির উপর কন্যাদেরও কি পূর্ণ অধিকার রয়েছে? জানুন আইনের সত্যিটা
Women's Rights on Father's Property: আগে মনে করা হত বিয়ের পর একজন মেয়ে তার স্বামীর পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠে। তাই বাপের বাড়িতে সম্পত্তিতে তার কোনও অধিকার থাকতো না।

২০০৫ সালে হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে এক গুরুত্বপূর্ণ সংশোধন করা হয়েছিল। সেই আইন অনুসারে কন্যাদের তাঁদের বাবার সম্পত্তিতে পুত্রের মতোই সমান অধিকার দেওয়া হয়। তার আগে শুধুমাত্র পুত্রই বাবার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতে পারত। যদি তার বাবা উইল করে কন্যার নাম রেখে যেত তাহলে পিতার সম্পত্তির উপরে অধিকার থাকতো কন্যার। ২০০৫ সালে সেই আইনের সংশোধন করা হয়। সেই সংশোধন অনুযায়ী যে সব কন্যারাই বাবার সম্পতির দাবিদার হতে পারেন এমন নয়।
কখন বাবার সম্পত্তিতে অধিকার দাবি করতে পারেন কন্যা?
যদি বাবা হিন্দু অবিভক্ত পরিবার (HUF) সম্পত্তির সহ-মালিক হন, তাহলে কন্যাও এতে সমান অধিকার পাবেন। এটি কন্যার জন্মগত অধিকার। মেয়ে বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত, সম্পত্তির উপরে তার সমান অধিকার থাকবে। মনে রাখবেন যদি বাবা ৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৫ সালের পরে মারা যান, তাহলেই কন্যার অধিকার সম্পূর্ণরূপে বৈধ হবে। তার আগে হলে নয়।
আগে মনে করা হত বিয়ের পর একজন মেয়ে তার স্বামীর পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠে। তাই বাপের বাড়িতে সম্পত্তিতে তার কোনও অধিকার থাকতো না। ২০০৫ সালে সেই আইন সংশোধন হয়। পৈতৃক সম্পত্তিতে মেয়েদের পূর্ণ অধিকার দেওয়া হয়।
যদি সম্পত্তিটি পারিবারিক সম্পত্তি হয় এবং পিতা সহ-মালিক হন, তাহলে কন্যারও এর উপর অধিকার থাকবে। যদি বাবার নিজের উপার্জন থেকে অর্জিত সম্পত্তি থাকে এবং তিনি উইল না করে থাকেন তাহলে, কন্যার সমান দাবি থাকবে সেই সম্পত্তির ওপরে। এক্ষেত্রে স্থাবর সম্পত্তি (যেমন – জমি, বাড়ি ইত্যাদি) অস্থাবর সম্পত্তি (যেমন – ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, বিনিয়োগ ইত্যাদি) দুই ধরনের সম্পত্তিতে বাকি সন্তানদের মতোই সমান অধিকার থাকবে।
যদি বাবা উইল করে কন্যাকে সম্পত্তির ভাগ থেকে বঞ্চিত করেন সেক্ষেত্রে মেয়ে বাবার স্ব-অর্জিত সম্পত্তির উপরে কোনও দাবি করতে পারবে না। যদি পৈতৃক সম্পত্তি থাকে, তাহলে উইলে তার নাম উল্লেখ থাকুক বা না থাকুক, কন্যা তাঁর অধিকার পাবেন। এর অন্যথা হলে সেই মহিলা আদালতের দারস্থ হতে পারেন।
উপরিক্ত এই সব একমাত্র হিন্দু পরিবারের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। মুসলিম উত্তরাধিকার আইন ভিন্ন। সেই আইন অনুসারে কন্যারা পিতার সম্পত্তির অংশ পান, তবে তা পুত্রের অর্ধেক। খ্রিস্টান ও পার্সি আইন অনুসারে, বাবার সম্পত্তিতে কন্যা ও পুত্রের সমান অধিকার রয়েছে।
মনে রাখবেন, যদি বাবা ৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৫ -এর আগে মারা যান, তাহলে কন্যার যৌথ পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তিতে আইনি অধিকার থাকবে না। কিন্তু ২০০৫ সালের পরে যদি বাবা মারা যান, তাহলে সমান ভাগ পাবেন।
(বিঃদ্রঃ: যদি আপনার কোনও ব্যাক্তিগত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করুন। এই প্রতিবেদন কেবল প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা।)
