নয়া দিল্লি: বিমান যাত্রার ক্ষেত্রে নিয়মবিধি আরও কিছুটা শিথিল করল বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক। এবার আর বিমানে যাত্রী সংখ্যার উপর কোনও বিধি নিষেধ থাকবে না। আর এই নিয়ম কালীপুজোর আগে থেকেই শিথিল হয়ে যাচ্ছে। ১৮ অক্টোবর থেকেই যাত্রী সংখ্যাই যাত্রী সংখ্যা নিয়ে যাবতীয় কড়াকড়ি তুলে নিচ্ছে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক। কেবল অন্তর্দেশীয় বিমান পরিবহনের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম শিথিল করা হচ্ছে।
করোনা আবহে প্রায় দেড় বছর ধরে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবার উপর একগুচ্ছ কড়াকড়ি করা হয়েছিল। বিমানপিছু যাত্রী পরিবহনের সংখ্যাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল কেন্দ্র। তবে এবার আর সেই কড়াকড়ি থাকছে না।
কোভিড অতিমারি শুরু হওয়ার কারণে কাঁটছাট করা হয়েছিল বিমান পিছু যাত্রী সংখ্যার উপর। করোনার প্রথম ঢেউ কাটিয়ে ওঠার পর গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বিমানের যাত্রী পরিবহন ক্ষমতার ৮০ শতাংশ যাত্রী নেওয়া যাবে বলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। পরে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে এটি ১ জুন তা আবার কমিয়ে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছিল। ২৫ জুলাই তা ফের কিছুটা বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করা হয়েছিল। এরপর ১২ অগাস্ট তা আরও বাড়িয়ে ৭২.৫ শতাংশ করা হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের তরফে বিমানপিছু যাত্রী ধারণক্ষমতা ৭২.৫ শতাংশ থেকে আবারও বাড়িয়ে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত করেছিল।
গত বছর ২৫ মে যখন করোনার প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কায় বিপর্যস্ত গোটা দেশ, তখন অতিমারি পরিস্থিতির আগে যত সংখ্যক বিমান ওঠানামা করত, অন্তর্দেশীয় বিমান পরিবহনের ক্ষেত্রে তার ৩৩ শতাংশ বিমান পরিষেবা পুনরায় শুরু করা হয়েছিল।
বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক অবশ্য বলেছে যে, উড়ান সংস্থাগুলিকে এবং বিমানবন্দর পরিচালকদের অবশ্যই করোনার সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পরে, তার জন্য যথাযথ নির্দেশিকার পালন করতে হবে এবং কোভিড-উপযুক্ত আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে।
অন্তর্দেশীয় বিমান পরিবহনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ভাড়া ৩০ দিন পর্যন্ত কার্যকর ছিল। অর্থাৎ, আপনার টিকিট কাটার দিন থেকে বিমান যাত্রা দিনের ব্যবধান যদি ৩০ বা তার কম হয়, তাহলে কেন্দ্রের নির্ধারিত দামের মধ্যেই টিকিট বিক্রি করতে হত সংস্থাগুলিকে। কিন্তু এই ব্যবধান ৩০ দিনের বেশি হয়ে গেলে সংস্থাগুলি নিজেদের ইচ্ছামতো ভাড়া করতে পারে টিকিটের জন্য। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমা কার্যকর ছিল না।
কিন্তু এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে, কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া বিমান ভাড়ার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমা ৩০ দিন থেকে কমে ১৫ দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। অর্থাৎ, এখন থেকে বিমানযাত্রার দিন এবং টিকিট কাটার দিনের ব্যবধান হতে হবে ১৫ বা তার কম। তাহলেই কেন্দ্রের নির্ধারিত মূল্যে আপনি বিমানের টিকিট কাটতে পারবেন।
অর্থাৎ, যদি আপনি আজ (২০ সেপ্টেম্বর) টিকিট কাটেন, সেক্ষেত্রে আপনার বিমান যাত্রার দিন ৪ অক্টোবর বা তার আগে হলে তবেই আপনি কেন্দ্রের নির্ধারিত বিমান ভাড়ার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মাত্রার সুবিধা পাবেন। কিন্তু তার পরে হয়ে গেলেই সংশ্লিষ্ট উড়ান সংস্থা নিজের ইচ্ছা মতো বিমান ভাড়া বাড়াতে বা কমাতে পারে।
আরও পড়ুন : Domestic Flight Fare: ১৫ দিনের বেশি হয়ে গেলেই ওলট-পালট হয়ে যেতে পারে বিমানের ভাড়া