Omicron Variant in India: ‘আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, তবে…’, ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে কী বলছেন ওমিক্রনের আবিষ্কারকর্তা
Dr Angelique Coetzee on Omicron Variant in India: ডঃ অ্যাঞ্জেনিক কোয়েটজ়ির মতে, করোনা মহামারী এখনই শেষ হবে না, তবে আগামিদিনে এর শেষের শুরু হয়ে যাবে।
নয়া দিল্লি: একমাস আগে তিনিই প্রথম সতর্ক করেছিলেন করোনার নতুন ভ্য়ারিয়েন্ট (New Variant of COVID-19) নিয়ে। এবার ভারতে ওমিক্রন (Omicron) সংক্রমণের কারণে আগামিদিনে কী পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে, তা জানালেন দক্ষিণ আফ্রিকা(South Africa)-র চিকিৎসক অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজ়ি (Angelique Coetzee)। তিনি জানান, ওমিক্রনের কারণে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ও সংক্রমণের হার (Positivity Rate) বৃদ্ধি পেলেও, সংক্রমণ খুব একটা গুরুতর আকার ধারণ করবে না।
দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপার্সন ডঃ অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজ়ি বলেন, “বর্তমানে যে ভ্যাকসিনগুলি রয়েছে, তা ওমিক্রন রুখতে অবশ্যই সাহায্য করবে। কিন্তু যারা এখনও টিকা নেননি, তারা ১০০ শতাংশই বিপদের মুখে রয়েছেন। যদি কেউ টিকাপ্রাপ্ত হন বা আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তবে তার থেকে অন্য কারোর ওমিক্রনে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু যারা টিকা নেননি, তারা যেকোনও মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত হতে পারেন।”
টিকাকরণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, “যে ভ্যাকসিনগুলি রয়েছে, তা সংক্রমণ রুখতে যথেষ্ট সাহায্য করবে। আমরা জানি যে যদি কেউ টিকা নিয়ে থাকেন বা আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তবে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা এক তৃতীয়াংশ থাকে। সেখানেই টিকাপ্রাপ্ত নন, এমন ব্যক্তির করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ।”
ডঃ অ্যাঞ্জেনিক কোয়েটজ়ির মতে, করোনা মহামারী এখনই শেষ হবে না, তবে আগামিদিনে এর শেষের শুরু হয়ে যাবে। যেহেতু ওমিক্রনের ক্ষমতা কম বলে মনে করা হচ্ছে, তাই অনেক বিশেষজ্ঞদের মতেই ওমিক্রনের হাত ধরেই মহামারিতে ইতি পড়তে চলেছে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসক এর সঙ্গে সহমত নন। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় করোনা মহামারি এখনই শেষ হবে না। আমার মনে হয়, সংক্রমণের শেষের শুরু হতে পারে।”
ভারতে কতটা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে ওমিক্রন, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ওমিক্রনের কারণে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং একইসঙ্গে সংক্রমণের হারও বৃদ্ধি পাবে। তবে আশা করা হচ্ছে অধিকাংশ আক্রান্তের সংক্রমণই গুরুতর আকার ধারণ করবে না। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় যেমন সংক্রমণ দেখছি, সেইরকমই মৃদু সংক্রমণ দেখা দেবে।”
বিশ্বে কীভাবে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ল ওমিক্রন সংক্রমণ, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বর্তমান সময়ের জন্য ওমিক্রন নিয়ে ভয়ের কোনও কারণ না থাকলেও, দ্রুতগতিতে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো গুরুতর অসুস্থতার হার আবার কম। এই ভাইরাসের একমাত্র উদ্দেশ্য হল গরম শরীরে আক্রমণ করা এবং বেঁচে থাকা। শিশুরাও এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছে, তবে তারা গড় ৫-৬ দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠছে।”
ওমিক্রন ভ্য়ারিয়েন্টে কী ফের অভিযোজন হয়ে এর রূপান্তর হতে পারে, এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ডঃ কোয়েটজ়ি বলেন, “হ্যাঁ, ভবিষ্যতে এই ভ্যারিয়েন্টে ফের অভিযোজন ঘটতে পারে এবং তা প্রাণঘাতী রূপ নিতে পারে, আবার অভিযোজন নাও হতে পারে।”