নয়া দিল্লি: নিজের কাজ কারোর কাছে যতই প্রিয় হোক না কেন, কেউই অফিসের কাজ বাড়ি অবধি বয়ে আনতে ভালোবাসে না। বাড়িতে যখন সে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে, তখন অফিসের ফোন, ইমেল, মেসেজ – সকলের জন্যই বিরক্তির। আর এই ‘সমস্যা’র মোকাবিলা করার জন্য, এক দুর্দান্ত নীতি গ্রহণ করল ফ্যান্টাসি স্পোর্টস সংস্থা, ড্রিম ১১ (Dream 11)। পোশাকি নাম ‘ড্রিম ১১ আনপ্লাগ নীতি’। এই নয়া নীতি কর্মচারীদের শান্তিতে ছুটি উপভোগ করার স্বাধীনতা দেবে বলে দাবি করেছে সংস্থা। তবে, ছুটির দিনে যাদের সহকর্মীদের বিরক্ত করার অভ্যাস রয়েছে, তাদের জন্য এই নীতি অভিশাপ হয়ে উঠতে পারে। দিতে হবে মোটা জরিমানা।
কী এই ড্রিম ১১ আনপ্লাগ নীতি? যাতে কর্মীদের ছুটির দিনে অফিসের কোনও ইমেল, মেসেজ বা ফোনকল নিয়ে ব্যস্ত হতে না হয়, সেটা মাথায় রেখেই এই নীতি তৈরি করা হয়েছে। নয়া নীতির অধীনে, কর্মীরা এক সপ্তাহের জন্য কাজ, কাজ সম্পর্কিত ইমেল, মেসেজ, ফোনকল এবং তাদের সহকর্মীদের থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হতে পারবেন। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সেই সময়ে ইমেল, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মতো অফিসের সমস্ত যোগাযোগের মাধ্যম থেকে লগ অফ করে দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে। অফিসের কেউ যাতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করা হবে। এভাবেই ‘আনপ্লাগ’ করা হবে তাঁকে।
পদ, কাজে যোগদানের তারিখ এবং অন্যান্য বিষয় নির্বিশেষে সংস্থার প্রত্যেক কর্মীই ‘আনপ্লাগ’ সময় কাটাতে পারবেন। সংস্থা বলেছে, “আমরা বুঝি যে প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানো বা ছুটি দিনে সম্পূর্ণ আরাম, সামগ্রিকভাবে কর্মীর মেজাজ, তাঁর জীবনের গুণমান, তাঁর উত্পাদনশীলতা এবং আরও অনেক কিছুর উন্নতি ঘটাতে পারে।” ড্রিম ১১-এর প্রতিষ্ঠাতা, হর্ষ জৈন এবং ভবিত শেঠ জানিয়েছেন, ‘আনপ্লাগ’ থাকাকালীন যদি অন্য কোনও কর্মী সংশ্লিষ্ট কর্মীটির সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তাহলে তাঁকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে। তাঁদের দাবি, তাঁদের সংস্থাটি কোনও বিশেষ কর্মীর উপর নির্ভরশীল যাতে না হয়ে পড়ে, তার জন্যই এই নয়া নীতি চালু করা হয়েছে।
ড্রিম ১১ সংস্থার এই নয়া নীতিতে কর্মীরা বেজায় খুশি বলে জানা গিয়েছে। সংস্থার এক কর্মী জানিয়েছেন, “আমরা সাত দিনের জন্য কাজের ফোনকল, ইমেল, মেসেজ এমনকি হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে মাথা ঘামাই না। এর ফলে আমরা আমাদের যে কোনও ভালোবাসার কাজ করে সময় কাটাতে পারি। আমি যেমন পাহাড়ে চলে যাই। সেখানে পর্যাপ্ত নেটওয়ার্কও থাকে না। সেটা আনপ্লাগিংয়ের সেরা রূপ।”