
বেঙ্গালুরু: ১৭-১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলগুলির দ্বিতীয় বৈঠক হওয়ার কথা। আর সেই বৈঠকে যোগ দিতে চলেছে আটটির মতো নতুন দল। এর আগে ২৩ জুন পটনায় বিরোধীদের প্রথম বৈঠকটি হয়েছিল। সেখানে যোগ দিয়েছিল ১৫টি বিরোধী দল। বেঙ্গালুরুতে যে বৈঠক হবে, তাতে মারুমালারচি দ্রাবিড় মুনেত্রা কাজাগাম ব এমডিএমকে (MDMK), কোঙ্গুনাড়ু মক্কাল দেশিয়া কাচ্চি বা কেএমডিকে (KMDK), বিদুথলাই চিরুথাইগাল কাচি (VCK), বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক দল বা আরএসপি (RSP), অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক (AIFB), কেরল কংগ্রেস (জোসেফ), কেরল কংগ্রেস (মানি), ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ বা আইইউএমএল (IUML) অ-বিজেপি জোটে যোগ দেবে বলে শোনা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় এনডিএ জোটেই ছিল ভাইকোর মারুমালারচি দ্রাবিড় মুনেত্রা কাজাগাম বা এমডিএমকে এবং ইআর এশ্বরনের কেএমডিকে। পরবর্তী সময়ে দুই দলই এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে যায়।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন আর মাত্র এক বছর দূরে। ক্ষমতাসীন বিজেপিকে পরাজিত করতে জোটবদ্ধভাবে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস এবং বামদলগুলি-সহ বিজেপি বিরোধী বেশ কয়েকটি দল। এই জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনার জন্য ২৩ জুলাই নীতীশ কুমারের আহ্বানে পটনায় মিলিত হয়েছিল ১৫টি দল – কংগ্রেস, সিপিএম, সিপিআই, সিপিআই-এমএল, তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি, জেডিইউ, পিডিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, ডিএমকে, এনসিপি, শিবসেনা (উদ্ধব), সমাজবাদী পার্টি এবং জেএমএম এবং আপ। আরও আটটি দল এই জোটের প্রতি সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায়, বলাই বাহুল্য জোটের শক্তি আরও বাড়ছে। তবে বর্তমান লোকসভায়, বিরোধী জোটের এই নতুন আট দলের শক্তি নেই বললেই চলে। বিদুথলাই চিরুথাইগাল কাচি, আরএসপি এবং কেরল কংগ্রেস (মানি)-র হাতে ১ জন করে সাংসদ রয়েছে। আর আইইউএমএল-এর রয়েছে ৩ জন সাংসদ।
গত শুক্রবারই, বেঙ্গালুরুর বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য বিরোধী নেতা-নেত্রীদের আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তবে, এই বৈঠকে যোগ নাও দিতে পারে আম আদমি পার্টি। পটনার বৈঠকের আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের অধ্যাদেশের বিরোধিতা করা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিল কেজরীবালের দল। কংগ্রেস যদি এই প্রসঙ্গে তাদের সমর্থন না করে, তাহলে আপ বৈঠকে যোগ দেবে না বলে হুমকি দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত পটনার বৈঠকে গিয়েছিলেন কেজরীবাল, ভগবন্ত সিং মানরা। সেই সময় কংগ্রেস জানিয়েছিল, সংসদের বাদল অধিবেশনের ১৫ দিন আগে তারা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এখনও অবশ্য এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি শতাব্দী প্রাচীন দলটি। তাই বেঙ্গালুরুর বৈঠকে আপকে নাও দেখা যেতে পারে।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। আসন্ন বৈঠক উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসকে ঘিরেও। এদিকে, পটনার বৈঠকে না গেলেও, বেঙ্গালুরুর বৈঠকে যোগ দিতে পারেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। সূত্রের খবর, কংগ্রেস সভাপতি খাড়্গে ব্যক্তিগতভাবে সনিয়াকে এই বৈঠকে যোগ দিতে অনুরোধ করেছেন।