নয়াদিল্লি: সংসদের অধিবেশন কক্ষে বুধবার অবৈধ ভাবে প্রবেশ এবং হামলার অভিযোগে দেশের আইনসভার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগে সরব বিরোধীরা। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে কীভাবে অভিযুক্তরা ঢুকলেন তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতেই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে লোকসভার আট জনকে সাসপেন্ড করা হল। এরা সকলেই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। বুধবার লোকসভার বিভিন্ন প্রান্তে ডিউটি ছিল তাঁদের। লোকসভায় হামলার ঘটনারর পর প্রথম এ রকম বড় পদক্ষেপ করা হল।
সাসপেন্ড হওয়া নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হলেন রামপাল, অরবিন্দ, বীর দাস, গণেশ, অনিল, প্রদীপ, ভিমিত এবং নরেন্দ্র। লোকসভার প্রবেশ পথ, পার্লামেন্ট হাউসের প্রবেশ পথে ডিউটি ছিল এই আট জনের।
বুধবার সংসদে চলছিল লোকসভার অধিকবেশন। সে সময় দর্শক গ্যালারি থেকে অধিবেশন কক্ষে নেমে আসে ২ জন। সেখানে স্মোক বম্ব ফাটায়। যার জেরে হলুদ ধোঁয়ায় ভরে যায় অধিবেশন কক্ষ। সংসদের বাইরেও হইচই করে আরও কয়েক জন। অধিবেশন কক্ষে ঢোকা ২ জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের নাম সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি। এ ছাড়াও অমল শিণ্ডে, নীলম আজাদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের সঙ্গে থাকা অপর এক অভিযুক্ত পলাতক। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ইউএপিএ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা। একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে তাঁদের মধ্যে পরিচয় গড়ে ওঠে। তার পর কয়েক মাস ধরেই সংসদে পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।