তৃণমূলকে কড়া চিঠি কমিশনের, ৩২৪ ধারা টেনে এনে তুলোধনা
কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে, যে অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের পক্ষ থেকে তোলা হয়েছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সংবিধানের ৩২৪ নম্বর ধারার কথা উল্লেখ করে রীতিমতো তুলোধনা করা হয়েছে তৃণমূলকে (TMC)।
নয়া দিল্লি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) চোট পাওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। কমিশনে বিবিধ অভিযোগ নিয়ে নালিশ জানিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতারা। যার প্রেক্ষিতে এ দিন কিছুটা কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কমিশন। জানানো হয়েছে, যে অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের পক্ষ থেকে তোলা হয়েছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সংবিধানের ৩২৪ নম্বর ধারার কথা উল্লেখ করে রীতিমতো তুলোধনা করা হয়েছে তৃণমূলকে।
বুধবার নন্দীগ্রামে আঘাত পাওয়ার পর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা। নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার কারণে যেহেতু রাজ্যের প্রশাসনিক ক্ষমতা কমিশনের আওতায় রয়েছে, সেই কারণে গোটা ঘটনায় ঘুরিয়ে দায়ী করা হয় কমিশনকেই। তৃণমূল কালকের ঘটনা নিয়ে দাবি করে, ‘এটি ছিল তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রাণ কেড়ে নেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র’। কমিশন যদিও এই ধরনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে তৃণমূলের চিঠির ভাষা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে কমিশন।
কমিশনের এ দিনে চিঠিতে লিখেছে, বাস্তবেই মমতার আহত হওয়ার এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এবং সমগ্র ঘটনার কঠোর তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তবে তৃণমূলের অভিযোগ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলা হয় কমিশনের পক্ষ থেকে। যে ভাষায় নালিশ জানানো হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কি না সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কমিশন। একই সঙ্গে তাদের বক্তব্য, যেভাবে তৃণমূল দাবি করেছে যে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি কমিশন নিজের অধীনে নিয়ে নিয়েছে, সেটাও পুরোপুরি সত্যি নয়। সংবিধানের ৩২৪ ধারার কথা উল্লেখ করে কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন কেবলমাত্র নির্বাচন পরিচালনা করে, লোকসভা এবং রাজ্যের ক্ষেত্রে বিধানসভা, এটা ভুল যে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার পুরো দায়িত্বভার নির্বাচন কমিশন নিয়ে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধেই ব্যাক টু ব্যাক প্রচার, আগামি পরশু থেকে জেলা সফরে মমতা
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ডেরেক ও’ব্রায়েনরা কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর উপর যে আঘাত হানা হবে, তার পূর্বাভাস ছিল।” তাঁদের দাবি, বিজেপি সাংসদদের পোস্টে ও বক্তব্য থেকেই বোঝা যাচ্ছিল যে এরকম কিছু ঘটবে। মুখ্যমন্ত্রীর যথেষ্ট নিরাপত্তা ছিল না বলেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরা। কমিশন সেই সমস্ত অভিযোগই কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনার কামব্যাক! ফিরতে পারে লকডাউন, চিন্তায় কেন্দ্র