
নয়াদিল্লি: ২০ মিনিটের সৌজন্য সাক্ষাৎ। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত এনডিএ গোষ্ঠীর তাবড় তাবড় মন্ত্রী-সাংসদরা। উপস্থিত ছিলেন বিরোধীরাও। ছিলেন না একা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর পরিবর্তে এসেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। কিন্তু কোন সূত্র ধরে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ?
শুক্রবার নিজের বাসভবনে চা চক্রের আয়োজন করেছিলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। মূলত প্রতিবার সংসদের অধিবেশনের শেষ দিনেই এই চা চক্রের আয়োজন করতে হয় স্পিকারদের। সেই মর্মে ছোট্ট আলাপের ব্যবস্থা করেছিলেন ওম বিড়লাও। ভারী, তাত্ত্বিক কথা নয়। বিবাদ, সংঘাতও নয়। একেবারে সাদামাটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। যাতে কখনও থাকল মৃদু খোঁচা, কখনও বা মশকরা। কখনও দেখা গেল, প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর কথায় মোদী-রাজনাথের স্মিত হাসি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন একেবারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের পাশেই বসেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তাঁর পাশেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রধানমন্ত্রীর পাশে বসেছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। কথায় কথায় বৈঠকে উপস্থিত সাংসদদের নিজের এলার্জির কথা বলেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি জানান, তাঁর লোকসভা কেন্দ্র — ওয়েনাড় থেকে নিয়ে আসা একটি আয়ুর্বেদিক দ্রব্য খেয়ে বেশ সুস্থ রয়েছে তিনি। তখনই মোদী-রাজনাথের মুখে দেখা যায় একটা স্মিত হাসি।
এমনকি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ত্রিদেশীয় — ইথিওপিয়া, জডার্ন এবং ওমান সফর নিয়ে প্রশ্ন করেন প্রিয়ঙ্কা। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সফর ভাল ভাবেই মিটেছে।’ এই চা চক্রে উপস্থিত ছিলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ধর্মেন্দ্র যাদব। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘শীতকালীন অধিবেশন আরও একটু দীর্ঘমেয়াদী করা প্রয়োজন ছিল।’ উত্তরে প্রধানমন্ত্রী মশকরার সুরে বলেন, ‘গলা ব্যথা হয়ে যেত, তাই মিটিয়ে দেওয়া হল।’