নয়া দিল্লি: দিল্লির আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় (Delhi Excise Policy Scam) হাজতবাস করছেন আপ নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। তবে দুর্নীতির জাল শুধু রাজধানীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, দক্ষিণের রাজ্য় অবধিও বিস্তৃত হয়েছে। অন্তত এমনটাই দাবি সিবিআই-ইডির। গত মাসেই দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় তেলঙ্গানার মুখ্য়মন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়ে কে কবিতা(K Kavitha)-কে জেরা করেছিল সিবিআই (CBI)। এবার একই মামলায় জেরার জন্য কেসিআর কন্য়াকে তলব করল ইডিও (Enforcement Directorate)। জানা গিয়েছে, আগামিকাল, ৯ মার্চ কে কবিতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
জানা গিয়েছে, দিল্লির আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী তথা তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা কে কবিতাকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামিকাল, ৯ মার্চ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর সিবিআই-ও হায়দরাবাদে কে কবিতাকে ৭ ঘণ্টা ধরে জেরা করে।
সূত্রের খবর, ইডির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে দিল্লির আবগারি নীতির মাধ্যমে শুধু দিল্লির হাতেগোনা কয়েকজন ব্যবসায়ীই নন, দক্ষিণের রাজ্যের একাধিক ব্যবসায়ীও লাভবান হয়েছিলেন। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কে কবিতা। তাঁর পাশাপাশি মাগুন্টা শ্রীনীবাসালু রেড্ডি, অন্ধ্র প্রদেশের শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের এক সাংসদ এবং অরবিন্দ ফার্মার শরথ রেড্ডিও জড়িত বলে অভিযোগ। গতকালই এই মামলায় ধৃত হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী অরুণ রামচন্দ্র পিল্লাইকে আগামী ১৩ মার্চ অবধি এবং মদ ব্য়বসায়ী আমনদীপ ধালকে ২১ মার্চ অবধি ইডি হেফাজতে পাঠানো হয়।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লির আবগারি নীতি দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আপ নেতা তথা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে। গ্রেফতারির পরই তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী সহ যাবতীয় মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দেন। তাঁকে বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দিল্লির তৎকালীন লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার নির্দেশেই দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়। এরপরই আম আদমি পার্টির সরকারের তরফে আবগারি নীতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ইডি ও সিবিআই মিলিতভাবে এই নীতির তদন্ত করছে।