Cow Smuggling Case: ৯ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ, আপাতত দিল্লি ছাড়তে পারবেন না সিউড়ি থানার আইসি
Cow Smuggling Case: সূত্রের খবর, গরুপাচারের ক্ষেত্রে কোনওরকম প্রোটেকশন মানি নেওয়া হত কি না, সেই সব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে দিল্লিতে ডেকেছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা।
নয়া দিল্লি: গরুপাচার মামলার (Cow Smuggling Case) তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই সূত্র ধরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার দিল্লিতে প্রবর্তন ভবনে ইডির (Enforcement Directorate) অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল বীরভূমের সিউড়ি থানার আইসি মহম্মদ শেখ আলিকে। টানা ৯ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে রাত প্রায় দশটার কিছু আগে ইডির অফিস থেকে বেরোলেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সিউড়ির আইসিকে আপাতত দিল্লি ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছে। গরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম করিডর হল বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ। এই পাচারের কারবারের সঙ্গে বিপুল অঙ্কের কালো টাকার লেনদেন জড়িয়ে রয়েছে বলে সন্দেহ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। সেই সূত্র ধরেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল মহম্মদ শেখ আলিকে। সূত্রের খবর, গরুপাচারের ক্ষেত্রে কোনওরকম প্রোটেকশন মানি নেওয়া হত কি না, সেই সব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে দিল্লিতে ডেকেছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা।
গরু পাচার চক্রের সঙ্গে যে বিপুল অঙ্কের কালো টাকা জড়িয়ে রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, সেই কালো টাকা কীভাবে সাদা করা হত, সেই সংক্রান্ত বিষয়েও সিউড়ি থানার আইসিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি এই গরু পাচারের মানি ট্রেল অর্থাৎ কোন পথে এই টাকা ঘোরানো হত, সেই সব বিষয়ে মহম্মদ শেখ আলিকে পুঙ্খানুপুঙ্খ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। কোন সংস্থায় কত টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে, কার নির্দেশ মতো এই টাকা বিনিয়োগ হয়েছে, সেই সব বিষয়েও ইডির গোয়েন্দারা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলে খবর।
প্রসঙ্গত, এর আগে কয়লা কেলেঙ্কারি মামলাতেও সিবিআই গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল সিউড়ি থানার আইসিকে। এবার গরু পাচার মামলাতেও ইডির চোখা চোখা প্রশ্নের মুখোমুখি আইসি মহম্মদ শেখ আলি। এদিন বেলা প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ ইডির অফিসে ঢুকেছিলেন তিনি। হাতে ছিল বেশ কিছু নথি।