
নয়া দিল্লি: ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে টাকা জমানো জরুরি, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। চাকরিজীবীদের সঞ্চয়ের অন্যতম মাধ্যম হল এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফও। কর্মী এবং যে সংস্থায় কাজ করেন, তাদের সমান অনুদান থাকে ইপিএফও ফান্ডে। এবার ইপিএফের নিয়মে এল বড় বদল, যাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।
ইপিএফও-র অধীনে কর্মীদের বিমার সুবিধাও পাওয়া যায়, যা EDLI স্কিম নামে পরিচিত। যদি চাকরিজীবী কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হয়, তবে এই স্কিমের অধীনে পরিবারের সদস্য বা নমিনি আর্থিক সাহায্য পান।
কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, যদি কোনও কর্মী চাকরি করা অর্থাৎ কর্মরত অবস্থায় মারা যান, তাহলে তার পরিবার ন্যূনতম ৫০,০০০ টাকার বিমার সুবিধা পাবেন। এমনকী, যদি ওই কর্মচারীর পিএফ অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা নাও থাকে, তাতেও এই সুবিধা পাবেন। আগে নিয়ম ছিল, এই বিমার সুবিধা পাওয়ার জন্য পিএফ অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে ৫০,০০০ টাকা জমা রাখতে হত। তবেই বিমা পাওয়া যেত। এখন এই নিয়ম বাদ দেওয়া হয়েছে।
Safety Alert!
💡 Security Beyond Service Tenure!
Under the EDLI Scheme, 1976, a minimum benefit of ₹50,000 is assured — even if the member hasn’t completed one year of continuous service.
Ensuring protection for every worker’s family. 🛡️👨👩👦
🔍 Scan the QR to know more!#EPFO… pic.twitter.com/qQWIK7aIvT— EPFO (@socialepfo) July 23, 2025
ইপিএফও-র নিয়মে আরেকটি বড় পরিবর্তন হল, যদি কোনও কর্মীর দুটি চাকরির মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের বিরতি বা গ্যাপ থাকে, তাহলে তা চাকরিতে গ্যাপ হিসেবে বিবেচিত হবে না। ১২ মাস একটানা চাকরির হিসাবে ৬০ দিনের ব্যবধান থাকলে, তার কোনও প্রভাব পড়বে না। এর ফলে সেইসব কর্মচারী উপকৃত হবেন যারা বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করেছেন, কিন্তু মাঝখানে সামান্য বিরতি রয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুসারে, যদি কোনও কর্মচারী তার শেষ বেতন পাওয়ার ৬ মাসের মধ্যে মারা যান, তাহলে তার নমিনিতে থাকা ব্যক্তিও EDLI স্কিমের বিমা সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ পিএফ চালুর ৬ মাসের মধ্যে মৃত্যু হলেও, নমিনি থাকা ব্যক্তি বিমার সুবিধা পাবেন।
EDLI-তে বিমার সুবিধা পাওয়া যায়। এর জন্য কর্মীদের আলাদাভাবে কোনও টাকা দিতে হবে না। কর্মরত থাকাকালীন মৃত্যু হলে এককালীন অর্থ পাওয়া যায়। আড়াই লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার কভার পাওয়া যায়।