উত্তর প্রদেশ: ১০ বছরের ছেলে চোখে দেখতে পায় না। তবু বাবার কাছে আবদার করেছিল সিংহের ডাক শুনতে চায় সে। এরপরই বাবা ঠিক করেন ইটাবায় লায়ন সাফারিতে নিয়ে যাবেন ছেলেকে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। খুশিতে ডগমগ ছোট্ট চন্দন। ইটাবারই শান্তি কলোনিতে থাকেন সনোজ যাদব। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ছুটিতে বাড়ি ফেরেন তিনি। এরপরই বাবার কাছে আবদার করে চন্দন। তার ইচ্ছা সিংহের ডাক কেমন হয় তা শুনবে। প্রথমদিকটায় বিষয়টি একটু অসম্ভবই মনে হয়েছিল বাবার। কিন্তু তাঁর স্ত্রী জানান, গত কয়েকদিনে একাধিকবার এই লায়ন সাফারিতে যাওয়ার জন্য জেদ করেছে ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জন্ম থেকেই দৃষ্টিহীন চন্দন। কিন্তু চারপাশ সম্পর্কে বেশ ওয়াকিবহাল সে। কোনও কিছু একবার শুনে নিলে আর ভুল হয় না তার। যে কোনও পশু পাখির ডাক শুনে বলে দিতে পারে কার আওয়াজ। তাই বাবা ঠিক করেন ছেলেকে নিয়ে ইটাবার লায়ন সাফারিতে যাবেন। ঘুরেও এসেছেন তাঁরা। দারুণ খুশি ওই বালক। মন ভরে শুনেছে সিংহের ডাক। যে বাসে এই সাফারি হয়, সেখানেই গাইড থাকেন। তিনি সমস্তটা বর্ণনা করে দেন। তাঁর চোখে দেখেও নিয়েছে এই সাফারি পার্কের সৌন্দর্য।
উত্তর প্রদেশের ইটাবা জেলার এই লায়ন সাফারি ৩৫০ হেক্টর জায়গা নিয়ে রয়েছে। এখন এটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রও বটে। দেশ-বিদেশের মানুষ ভিড় জমান এখানে। সিংহের প্রজননও হয় এখানে। এর আগে গুজরাট থেকে সিংহ-সিংহি আনা হয়েছিল। এখানকার সিং ‘মনন’ এখন ন’ সন্তানের বাবা। ১৪ বছরের বেশি বয়স এই মননের। গত তিন চারদিন ধরে তার শরীর বিশেষ ভাল নেই। মনন ছাড়াও এখন এই ইটাবা সাফারি পার্কে ৮টি সিংহ ও ১০টি সিংহি রয়েছে। ইটাবা সাফারি পার্কে সিংহের সাফারি তো বিখ্যাতই, এছাড়াও হরিণ, ভাল্লুকের সাফারিও বেশ মন টানে পর্যটকদের।