Bharat Ratna: মরণোত্তর ভারতরত্ন পাচ্ছেন কর্পূরী ঠাকুর, অবদানের কথা উল্লেখ মোদীর
Bharat Ratna: দুবার বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী হয়েছিলেন কর্পূরী ঠাকুর। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের উন্নয়নে তাঁর ভূমিকার কথা জানেন অনেকেই। প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্কুল তৈরি করা থেকে শুরু করে পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছিলেন তিনি।

নয়া দিল্লি: দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্ন পাচ্ছেন কর্পূরী ঠাকুর। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে এ কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কর্পূরী ঠাকুরের কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত কর্পূরী ঠাকুরকে মরণোত্তর এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য তিনি যে অবদান রেখেছিলেন, তার জন্যই এই সম্মান প্রদান করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে জননায়ক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। দুবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। তাঁর সময়কালে দরিদ্র মানুষের উন্নয়নে অনেক কাজ হয়েছিল বলে জানা যায়।
প্রধানমন্ত্রী টুইটারে উল্লেখ করেছেন, কর্পূরী ঠাকুরের জন্ম শতবর্ষের আগেই এই সম্মান প্রদান করা হচ্ছে। তিনি সব স্তরের মানুষের সমতার জন্য লড়াই করেছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, “পিছিয়ে পড়া মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যে ভূমিকা পালন করেছেন কর্পূরী ঠাকুর তা দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর অবদান আগামিদিনে অনুপ্রেরণা জোগাবে।”
I am delighted that the Government of India has decided to confer the Bharat Ratna on the beacon of social justice, the great Jan Nayak Karpoori Thakur Ji and that too at a time when we are marking his birth centenary. This prestigious recognition is a testament to his enduring… pic.twitter.com/9fSJrZJPSP
— Narendra Modi (@narendramodi) January 23, 2024
জানা যায়, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য সরকারি চাকরিচে সংরক্ষণ তিনিই প্রথম শুরু করেছিলেন। এছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে একাধিক স্কুল তৈরি হয়েছিল তাঁর আমলে, যা আজও তাঁর নামেই পরিচিত। তিনি বিহারে মদ নিষিদ্ধ করেছিলেন তাঁর আমলে।
১৯৭০ থেকে ১৯৭১ সাল ও ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তৎকালীন জনতা দলের এই নেতা। ব্রিটিশ ভারতে বিহারের সমস্তিপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ছাত্রাবস্থা থেকেই বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নিতেন কর্পূরী ঠাকুর। পরবর্তীতে রাজনীতিতে যোগ দেন সক্রিয়ভাবে।
