ভোপাল : এক অবসরপ্রাপ্ত আইএএস কর্মীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন তাঁর ছেলের বউ। শারীরিক নির্যাতন, পণের দাবি সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। মধ্যপ্রদেশের এক মহিলা অভিযোগ করেছেন যে, ছেলের শারীরিক অক্ষমতার কথা গোপন করে তাঁর সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার। তিনি শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণেরও অভিযোগ করেছেন। এর পাশাপাশি যৌতুকের জন্য তাঁর চাপ সৃষ্টি করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। সাহায্যের জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হলে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ওই মহিলাকে।
গত বছর নভেম্বর মাসে ভোপালের এক অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার সেখানকার একটি হোটেলে তাঁর ছেলের সঙ্গে এই অভিযোগকারী মহিলার বিয়ে দেন। বিয়ের সময় মহিলা জানতেন না যে তাঁর স্বামী শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে অক্ষম। বিয়ের দু’দিনের মাথায় তা জানতে পারার পরই মহিলাকে ঘর থেকে বের করে স্বামী। ওই মহিলার অভিযোগ, এরপর তাঁর শ্বশুরমশাই তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন। কিন্তু মহিলা বাধা দিলে তাঁকে মারধর করা হয়। এই বিষয়ে স্বামীকে জানানো হলে তিনি তাঁর নিজের বাবাকেই সমর্থন করেন। শুধু এখানেই শেষ নয়। বিয়ের পরদিনই পুত্রবধূর কাছে যৌতুক হিসেবে ৭ লক্ষ টাকা ও একটি দামি গাড়িও চাওয়া হয়। তা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে মারধর করা হয়।
নির্যাতিতা জানিয়েছেন তিনি সাহায্য চেয়ে পুলিশেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ কোনওরকম সাহায্য করেনি। তিনি জানিয়েছেন, শ্বশুর ১৯৯২ এর ব্যাচের একজন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার। এদিকে পুত্রবধূর সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে জানিয়েছে মহিলার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। সংবাদ মাধ্যমকে তাঁরা জানিয়েছেন, এইসব অভিযোগ মিথ্যে। এমনকী বিয়ের সমস্ত খরচ ছেলের বাড়ি বহন করেছে বলেও জানিয়েছেন। অবশেষে সাতনা থানার পুলিশ দু’পক্ষের বার্তা শুনে ঘটনার তদন্ত করছে বলে জানা গিয়েছে।