অম্বানীকাণ্ডে এনআইএ-র জালে সচিনের শিক্ষাগুরুও, ৬ ঘণ্টা তল্লাশির পর গ্রেফতার
তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, অম্বানীকাণ্ড ও মনসুখ হিরেনের খুনের মামলায় ধৃত সচিন ভাজে় জেরায় জানিয়েছেন যে মুকেশ অম্বানীর বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হওয়া গাড়িতে রাখা বিস্ফোরক কিনতে সাহায্য করেছিলেন প্রদীপ শর্মা।
মুম্বই: ভোরবেলাতেই এনকাউন্টার স্পেশালিস্টের বাড়িতে হাজির জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। মুকেশ অম্বানীর বাসভবনের সামনে থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারের তদন্তে বৃহস্পতিবার ভোরবেলাতেই মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন অফিসার তথা এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট প্রদীপ শর্মার বাড়িতে হাজির হয় এনআইএ ও সিআরপিএফ বাহিনী। ৬ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চলার পর এ দিন দুপুরে তাঁকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী দল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অম্বানীকাণ্ডে ধৃত পুলিশ অফিসার সচিন ভাজের শিক্ষাগুরু হিসাবেই পরিচিত ছিলেন প্রদীপ শর্মা। গত এপ্রিল মাসেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুম্বই পুলিশ ও এনআইও। সেই সময় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, জেরায় বেশ কিছু তথ্য মিলেছে, যা গাড়ির যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী মনসুখ হিরেনের খুনের মামলার কিনারা করতে সাহায্য করতে পারে।
তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, অম্বানীকাণ্ড ও মনসুখ হিরেনের খুনের মামলায় ধৃত সচিন ভাজে় জেরায় জানিয়েছেন যে মুকেশ অম্বানীর বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হওয়া গাড়িতে রাখা বিস্ফোরক কিনতে সাহায্য করেছিলেন প্রদীপ শর্মা। তাঁর মাধ্যমেই যোগাযোগ করে ২৫টি জিলেটিন স্টিক কেনা হয়েছিল।
এ দিকে এনআইএ জানিয়েছে, গোটা ঘটনাটি ঘটার পরও বেশ কয়েকবার অভিযুক্ত সচিন ভাজের সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রদীপ। এতেই সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। মঙ্গলবার মনসুখ হিরেনের খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সন্তোষ সেলার ও আনন্দ যাদব নামক দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়। তাঁদের আগামী ২১ জুন অবধি পুলিশ হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জানা গিয়েছে, প্রদীপ শর্মা ২০১৯ সালেই মুম্বই পুলিশের চাকরি ছেড়ে দেন শিবসেনার হয়ে বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার জন্য। যদিও সেই নির্বাচনে তিনি হেরে যান, এরপর তিনি পিএস ফাউন্ডেশন নামে একটি অলাভজনক সংস্থা চালু করেন।
গত সপ্তাহে গ্রেফতার হওয়া সন্তোষ সেলারের সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে, এই সন্দেহেই আজ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: ফোন করছেন স্বয়ং পিকে, নির্বাচনে টিকিটের বদলে চাইছেন টাকাও, জালিয়াতির শিকার কংগ্রেস নেতারা