
১৯৬২-র মাঝামাঝি পাকিস্তানকে একডজন এফ-১০৪ স্টারফাইটার সরবরাহ করে আমেরিকা। লকহিড সংস্থার তৈরি করা এই সিঙ্গল ইঞ্জিন, সুপারসনিক যুদ্ধবিমান ইসলামাবাদে পৌঁছনোর খবর কানে যেতেই দিল্লিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু হয়। খোঁজ শুরু হয় এমন যুদ্ধবিমানের যেগুলি শব্দের চেয়ে অন্তত দ্বিগুণ গতিতে ছুটে আকাশযুদ্ধে এফ-১০৪-এর মোকাবিলা করতে পারবে। ঠিক সেই সময় অবিভক্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের সংস্থা মিকোয়ান গুরভেচের তৈরি মিগ-২১ দিল্লির প্রতিরক্ষা কর্তাদের নজরে আসে। বিশ্বের চারটি মহাদেশের অন্তত ৬০টি রাষ্ট্র মিগ-২১ ব্যবহার করে। কিন্তু সদ্য স্বাধীন হওয়া ভারতের ভাণ্ডারে তখন টাকাপয়সার টানাটানি। ভারতের সবসময়ের বন্ধু রাশিয়া সেই সময় খুব কম খরচে মিগ যুদ্ধবিমানের প্রযুক্তি ভারতকে ব্যবহার করতে দেয়। ১৯৬৩-তে নাসিকে মিগ-এর এয়ারফ্রেম তৈরির কারখানা স্থাপিত হয়। ১৯৯৬-এ মিগ-২১-এর সামান্য আধুনিক সংস্করণ ১২৫টি মিগ-২১ বাইসন কেনার ছাড়পত্র দেয় কেন্দ্র। মুক্ত বিহঙ্গ মিগ ২১ আজ ‘বুড়ো’ হয়ে গেছে ভারতীয় বায়ুসেনার সেই...