
নয়া দিল্লি: বিস্ফোরণে কাঁপল লালকেল্লা চত্বর। নিহত অন্তত ১০। দিল্লিতে কি তবে জঙ্গি নাশকতা? একের পর এক তথ্য যতই সামনে আসছে ততই জোরাল হচ্ছে প্রশ্ন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান অন্তত তেমনটাই। প্রশাসনিক-রাজনৈতির মহলেও শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। দিল্লি পুলিশ বলছে চলন্ত গাড়িতেই বিস্ফোরণটি ঘটেছে। যে সময় ঘটনাটি ঘটেছে তখন ধীরে ধীরে যাচ্ছিল গাড়িটি। সিগন্যাল লাল দেখেই তা দাঁড়িয়ে যায়। আর তখনই লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। তাতেই কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা।
তাহলে কী আত্মঘাতী হামলা? তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশ। সিআরপিএফের ডিআইজিও ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। অন্যদিকে এক সন্দেহভাজনকে দিল্লি পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে। বিস্ফোরণস্থল সংলগ্ন একাধিক এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। সূত্রের খবর, ঘটনাচক্রে যে গাড়িতে বিস্ফোরক বোঝাই ছিল সেই গাড়ির নাম্বার প্লেট হরিয়ানার। কয়েক ঘণ্টা আগে হরিয়ানার ফরিদাবাদে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যেই হরিয়ানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে দিল্লি পুলিশ।
ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। দিল্লি পুলিশ কমিশনারের থেকে প্রাথমিক রিপোর্টও নিয়েছেন অমিত শাহ। কথা বলছেন আইবি-র ব্যুরো চিফের সঙ্গেও। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে এনএসজি, এনআইএ। গোটা শহরে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট।