S Jaishankar on Sheikh Hasina: মাথায় ঝুলছে ফাঁসির সাজা, শেখ হাসিনা কি আজীবন ভারতেই থেকে যাবেন? উত্তরে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বললেন…
India-Bangladesh Relation: গত বছরের অগস্ট মাসে বাংলাদেশে গণ অভ্যুত্থানের মুখে পড়ে ঢাকা ছাড়েন। আশ্রয় নেন ভারতে। গত মাসেই মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং ফাঁসির সাজা দেয়। বিদেশমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে শেখ হাসিনা কি চাইলে যতদিন ইচ্ছা ভারতে থেকে যেতে পারেন?

নয়া দিল্লি: ভারতেই কি পাকাপাকিভাবে থেকে যাবেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)? অবশেষে তাঁকে নিয়ে মুখ খুললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বললেন, ভারতে থাকার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে শেখ হাসিনার ব্য়ক্তিগত সিদ্ধান্ত, যা বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে সৃষ্টি হয়েছিল।
শনিবার এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শনিবার, ৬ ডিসেম্বর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই দেশে চলে আসা এবং তাঁর থেকে যাওয়া নিয়ে কথা বলেন। গত বছরের অগস্ট মাসে বাংলাদেশে গণ অভ্যুত্থানের মুখে পড়ে ঢাকা ছাড়েন। আশ্রয় নেন ভারতে। গত মাসেই মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং ফাঁসির সাজা দেয়।
বিদেশমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে শেখ হাসিনা কি চাইলে যতদিন ইচ্ছা ভারতে থেকে যেতে পারেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, “এটা একটা আলাদা ইস্যু। বিশেষ পরিস্থিতিতে তিনি এখানে এসেছিলেন এবং আমি মনে করি যে ওই পরিস্থিতি তাঁর এই অবস্থার অন্যতম কারণ। তবে এই বিষয়ে তাঁকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
নয়া দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি পড়শি দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তা কথাতেই জোর দেন। বাংলাদেশে অতীতে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা যা শুনেছি যে বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে যারা বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছেন, তাদের আগের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে সমস্যা ছিল। এখন যদি নির্বাচনের কথা বলতে হয় তাহলে প্রথমেই প্রয়োজন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের।”
আগামিদিনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হবে বলেই আশা প্রকাশ করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশের শুভাকাক্ষ্মী। আমরা গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে মনে করি যে কোনও গণতান্ত্রিক দেশই জনগণের ইচ্ছাকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হতে দেখতে চাইবে। আমার বিশ্বাস যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যা-ই ফলাফল হোক না কেন, আমাদের সম্পর্ককে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হবে এবং সম্পর্ক উন্নত হবে।”
