Extra Marital Relation: দিদির দেওরের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন মহিলা, যে স্বামীর নামে সিঁদুর পরতেন, তাঁর জীবনেরই পিপাসু হয়ে উঠল…

Crime: অভিযুক্ত বিন্দু দেবীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাঁর দিদির দেওর উদয় যাদবের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। স্বামী এই সম্পর্কের কথা জানতে পেরেই বিরোধিতা করেছিল। চরম অশান্তিও হয় তাদের মধ্যে, কিন্তু তারপরও এই মহিলা ও তাঁর প্রেমিক থামেননি। 

Extra Marital Relation: দিদির দেওরের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন মহিলা, যে স্বামীর নামে সিঁদুর পরতেন, তাঁর জীবনেরই পিপাসু হয়ে উঠল...
অভিযুক্ত উদয় যাদব ও বিন্দু দেবী। Image Credit source: TV9 ভারতবর্ষ

|

Mar 26, 2025 | 6:40 PM

পটনা: ১৫ বছর আগে বিয়ে হয়েছে, তিন সন্তানও রয়েছে। তারপরও মহিলা এমন অপকর্ম ঘটালেন যে গোটা গ্রাম জুড়ে ছিঃছিঃ পড়ে গেল। স্বামীকে ভুলে দিদির দেওরের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন স্ত্রী। পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল স্বামী, তাঁকেই সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করলেন প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে। তবে বরাতজোরে বেঁচে যান স্বামী। আর তারপরই শ্রীঘরে ঠাঁই হল স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের।

ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের লখীসরাইয়ে। অভিযুক্ত মহিলা তাঁর দিদির শ্যালকের প্রেমে পড়েন। তাঁর সঙ্গে নতুন করে সংসার পাতার জন্য স্বামীকেই খুন করার পরিকল্পনা করেন। গত ২২ মার্চ পঙ্কজ যাদব নামক এক ব্যক্তির উপরে হামলা করে এক ব্যক্তি। তাঁর মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। ওই ব্যক্তিকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায় হামলাকারী। সে ভেবেছিল, পঙ্কজ যাদব মারা গিয়েছে। কিন্তু কোনওক্রমে তিনি রক্ষা পান। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তিনি। পুলিশকেই তিনি জানান যে সম্ভবত স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক মিলেই হামলা চালিয়েছে।

এরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। জেরায় আহত ব্যক্তির স্ত্রী অপরাধ স্বীকার করে নেয়। জানা যায়, অভিযুক্ত বিন্দু দেবীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাঁর দিদির দেওর উদয় যাদবের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। স্বামী এই সম্পর্কের কথা জানতে পেরেই বিরোধিতা করেছিল। চরম অশান্তিও হয় তাদের মধ্যে, কিন্তু তারপরও এই মহিলা ও তাঁর প্রেমিক থামেননি।  এরপরই স্বামীকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন দু’জন মিলে।

ঘটনার দিন পঙ্কজ বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরই বিন্দু কুমারী তাঁর প্রেমিকের কাছে স্বামীর লোকেশন পাঠিয়ে দেয়। সেই লোকেশন দেখেই উদয় গিয়ে পঙ্কজের উপরে হামলা চালায়। পঙ্কজকে ব্যাপক মারধর করে আধমরা করে দিলেও, লোকজন চলে আসায় সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

অভিযুক্ত উদয় পুলিশকে বলেছেন, “১০ বছর ধরে আমরা একে অপরকে চিনি। আমাদের প্রেমের সম্পর্কে ওর স্বামী বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল বলেই ও আমায় বলেছিল যে স্বামীকে মেরে ফেল। পিস্তল কেনার জন্য ১৭ হাজার টাকাও দিয়েছিল। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পরও আমরা একসঙ্গে থাকব।”