কলকাতা: আজ ২২ মার্চ। দেশবাসীর ‘ঘরবন্দি’ থাকার বর্ষপূর্তি। গত বছর ঠিক আজকের দিনেই করোনার সংক্রমণে হ্রাস টানতে জারি করা হয়েছিল ‘জনতা কার্ফু’ (Janta Curfew)। তার ঠিক দু’দিন পর থেকে গোটা দেশে ২১ দিনব্যাপী লকডাউন (Lockdown) শুরু হয়। পরে ধাপে ধাপে তা বাড়তে থাকে। এক বছর পেরিয়ে আজকের দিনে জনমানসে ফের সেই প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে। আগামিকাল বা পরশু থেকে কি ফের লকডাউন শুরু হবে দেশজুড়ে?
গত ২২ মার্চের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সেই লকডাউনের ঘোষণা যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত ঘটিয়েছিল গোটা দেশবাসীর উপর। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কর্মহারা হয়েছিলেন কয়েক লক্ষ মানুষ। লকডাউনের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়েছিল দেশের অর্থনীতির উপর। রুজিরুটি জোগাড়ে নাভিশ্বাস উঠেছিল সাধারণ মানুষের। ফলে দ্বিতীয়বার লকডাউনের প্রশ্ন শুনলে যেন গায়ে জ্বর আসছে মধ্যবিত্ত ও দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের। তাই উতিউতি অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, ফের লকডাউন হচ্ছে নাকি?
প্রশ্নটা অযৌক্তিক তা কোনও ভাবেই বলা যাচ্ছে না। কেননা, দেশজুড়ে ফের দৈনিক সংক্রমণ ৪৫ হাজারের কোঠায় পৌঁছে গিয়েছে। উত্তর ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে শুরু হয়েছে নাইট কার্ফু। মহারাষ্ট্রের কয়েকটি জেলায় আবার আংশিক লকডাউনও করা হয়েছে। অন্যদিকে, দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেন।
এই প্রশ্নের সন্ধানে TV9 বাংলার হাতে যে সহজ উত্তর উঠে এসেছে তা হল, ‘না’। নতুন করে লকডাউন করার পরিকল্পনা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কেন্দ্র বা রাজ্যের নেই। যদিও সংক্রমণের পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক তা স্বীকার করছে সব পক্ষই। যে কারণে সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার বিকেল ৫ টায় ভিডিয়ো কনফারেন্সে একটি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে সমস্ত জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলায় সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতা! শহরের কোথায় কোথায় সবচেয়ে বেশি বিপদ? দেখে নিয়ে এড়িয়ে চলুন জায়গাগুলি
অন্যদিকে স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতির জেরে নতুন করে সমস্ত হাসপাতালগুলিকে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত বছর সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত হওয়ার সময় যে হেল্পলাইন নম্বর রাজ্যের পক্ষ থেকে চালু করা হয়েছিল, তা পুনরায় সক্রিয় করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লাও অতিসম্প্রতি চিঠি দিয়ে সমস্ত রাজ্যগুলিকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, কোভিড বিধি যাতে সঠিকভাবে পালন করা হয়। ফলে ভোটের মধ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধি অবশ্যই প্রশাসনের চিন্তার কারণ হলেও নতুন করে লকডাউনের কোনও আশঙ্কা আপাতত নেই বললেই চলে।
আরও পড়ুন: ২৮ দিন পর মিলবে না টিকার দ্বিতীয় ডোজ়, কোভিশিল্ডে বড় ঘোষণা কেন্দ্রের