২৮ দিন পর মিলবে না টিকার দ্বিতীয় ডোজ়, কোভিশিল্ডে বড় ঘোষণা কেন্দ্রের
টিকার প্রথম ডোজ়ের পর এতদিন দ্বিতীয় ডোজ় মিলত ২৮ দিনের ব্যবধানে।
নয়া দিল্লি: দেশে দু’টি অনুমোদিত করোনা টিকার মাধ্যমে টিকাকরণ চলছে। কোভিশিল্ড ও কোভ্য়াক্সিনের মাধ্যমে এখন টিকাকরণ হচ্ছিল। টিকার প্রথম ডোজ়ের পর এতদিন দ্বিতীয় ডোজ় মিলত ২৮ দিনের ব্যবধানে। কিন্তু এ বার সেই নিয়মে বদল আসতে চলেছে। কোভিশিল্ড করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ় এ বার মিলবে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের ব্যবধানে।
বিশ্বব্যাপী ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে দেরিতে কোভিশিল্ড দিলে করোনার ওপর তার প্রভাব বেশি পড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও জানিয়েছিল, ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে কোভিশিল্ড সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। তাই সেই সিদ্ধান্ত মাথায় রেখেই প্রত্যেকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে কোভিশিল্ড ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের ব্যবধানে দিতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্র সরকার এই বিষয়ও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এই নির্দেশিকা শুধুমাত্র কোভিশিল্ডের জন্যই। কোভ্যাক্সিন যেভাবে দেওয়া হচ্ছে সেভাবেই দেওয়া হবে। তার ওপর কোনও নির্দেশিকা দেয়নি কেন্দ্র। রাজ্যগুলিকে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, বৈজ্ঞানিক তথ্য ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কেন্দ্র এই বিষয়েও পরিষ্কার জানিয়েছে যে ৮ সপ্তাহের পর যেন টিকা না দেওয়া হয়। টিকার দ্বিতীয় ডোজ় যেন ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই পেয়ে যান প্রাপকরা।
ট্রায়াল-রিপোর্টে অক্সফোর্ডও জানিয়েছিল, টিকা (Covid 19 Vaccine) বেশি সুরক্ষা দিচ্ছে দ্বিতীয় ডোজ ১২ সপ্তাহ পর দিলেই। তাতে এফিকেসি রেট অর্থাৎ কার্যকারিতার হার মিলছে ৮১.৩%। অথচ, ৬ সপ্তাহের মধ্যে দিলে অনেকটাই কমে যাচ্ছে কার্যকারিতার হার। মাত্র ৫৫.১%। ভারতে যেহেতু বেশিরভাগ নাগরিককে কোভিশিল্ড দেওয়া হচ্ছে, তাই করোনার বিরুদ্ধে পাকাপোক্ত রক্ষণ তৈরির প্রশ্নে দ্বিতীয় ডোজ পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন টিকা বিশেষজ্ঞরা। সেই বিষয়টিকেই মান্যতা দিল কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: অমানবিক, স্ত্রীর যৌনাঙ্গ অ্যালুমিনিয়াম তার দিয়ে সেলাই করল স্বামী