
নয়াদিল্লি: ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক থেকে ভুয়ো রেলপুলিশ। এ যেন রোজকার ব্য়াপার। সাম্প্রতিক কালে এই বাংলার শিয়ালদহ থেকে ধরা পড়েছে একের পর এক ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক। তবে এবার যিনি ধরা পড়লেন তিনি কোনও টিকিট পরীক্ষক বা রেলপুলিশ নয়। তিনি নাম ভাঙিয়ে ছিলেন সরাসরি ADRM বা অ্য়াডিশনাল ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারের। বলা চলে, কোনও একটি জোনে রেলের সর্বোচ্চ কর্তাদের মধ্য়ে এই ADRM অন্যতম।
ঘটনা বিহারের দ্বারভাঙ্গা রেল স্টেশনের। সেখানেই ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এই ভুয়ো ADRM। উঠে পড়েছিলেন সেনানী এক্সপ্রেসের AC কোচেও। তারপর আয়েশ করে পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাজার মতো বসেছিলেন তিনি। আর যে কেউ যাচ্ছে পাশ দিয়ে, তাকেই তিনি নির্দেশ দিচ্ছেন চা, জল আনার। এ যেন ‘রেলের রাজা’।
এমনকি, তার চালচলন দেখে ট্রেনের মধ্য়ে থাকা টিকিট পরীক্ষকও মাথা নামিয়ে চলা ফেরা করছিলেন। যতই হোক ADRM বলে কথা। কিন্তু সুখ সে তো তারা! টেকা একটু দায়। আর তেমনটাই হল। রেলকর্তার জীবনে সুখ চিরে নামল অন্ধকার। ক্ষণিকের মধ্য়েই ফাঁস সত্য়ি। কিন্তু কীভাবে ধরা পড়লেন তিনি? রেলকর্তা যখন আরাম করে ঘুমোচ্ছেন। সেই সময় ফোন ঢোকে ওই এক্সপ্রেসে থাকা রেলপুলিশের কাছে। একটা গোপন খবর পায় তারা।
दरभंगा जंक्शन पर फर्जी ADRM साहेब गिरफ्तार, खुद को समस्तीपुर का अधिकारी बताकर कर रहा था यात्रा; TTE से मंगवा रहा था चाय बिस्किट#samastipur #darbhanga #adrm pic.twitter.com/yPuyh2HGlh
— Samastipur Town (@samastipurtown) June 6, 2025
উল্লেখ্য, সমাজমাধ্য়মে এই ভুয়ো ADRM-এর কীর্তি ইতিমধ্য়েই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেই ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বেশ আয়েশ করে ঘুমোচ্ছিলেন ওই ADRM। আর তার সেবা করতে ব্যস্ত এক টিকিট পরীক্ষক। তখনই সেই সেবা পর্বের মাঝে ঢুকে পড়ল কর্মরত রেলপুলিশ। ADRM ছদ্মবেশীর পরিচয়পত্র চেয়ে বসে তারা। পুলিশের ওমন তাবড় দেখে ভয় পেয়ে যায় সেই ভুয়ো ADRM। বেরিয়ে আসে সত্যি। জানা যায়, সেই ভুয়ো ADRM আসলে এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী। বিনামূল্যে ট্রেনে চড়তে এই সব ফন্দি আঁটেনতিনি।