আজ দিনভর অনশনে কৃষকরা, সঙ্গী অরবিন্দ কেজরীবালও

আজ সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা অবধি অনশন পালন করবেন তাঁরা। পাশাপাশি প্রতিদিনের মতোই আজও প্রতিবাদ প্রদর্শন করবেন কৃষকরা। আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে অনশন পালন করবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবাল (Arvind Kejriwal)-ও।

আজ দিনভর অনশনে কৃষকরা, সঙ্গী অরবিন্দ কেজরীবালও
দিল্লি সীমান্ত অবরোধ করে বসে রয়েছেন কৃষকরা। ছবি: ANI
Follow Us:
| Updated on: Dec 14, 2020 | 1:53 PM

নয়া দিল্লি: এবার অনশনের (Hunger Strike) পথ বেছে নিলেন কৃষকরা। দীর্ঘ ১৮ দিন ধরে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকরা সোমবার অনশন পালন করবেন বলে জানিয়েছেন। কৃষকদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে অনশন পালন করবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল (Arvind Kejriwal)-ও।

প্রতিদিনের মতোই আজও প্রতিবাদ প্রদর্শন করবেন কৃষকরা (Farmers Protest)। পাশাপাশি আজ সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা অবধি অনশন পালন করবেন তাঁরা। কৃষকদের সমর্থনে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টির সমর্থক ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে টুইট করে বলেন,”যেখানেই থাকুন, কৃষকদের সমর্থনে অনশন পালন করুন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুন তাদের আন্দোলন যেন সফল হয়। সবশেষে তারা অবশ্যই জয়ী হবেন।”

তবে অরবিন্দ কেজরীবালের অনশন রাখার প্রতিশ্রুতিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভেদকর (Prakash Javedkar) কটাক্ষ করে বলেন, “এরা আপনার ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয়। পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের সময় আপনি এপিএমসি (APMC) আইন সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। নভেম্বর মাসেই দিল্লিতে একটি নতুন কৃষি আইন এনেছেন আর আজ অনশন রাখছেন! এটা ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয়।”

সরকারের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পরই ষষ্ঠ দফার বৈঠক বাতিল করে দেয় কৃষকরা। হুমকি দেয় বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার। সেই আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসাবেই গত সপ্তাহেই সীমান্তের বিভিন্ন টোল প্লাজা দখল নেয় কৃষকরা। বিনা টোল ফি দিয়েই যেতে দেওয়া হয় সমস্ত গাড়িকে। সেই আন্দোলনেরই আরেকটি অংশ হিসাবে সোমবার অনশন রাখবেন কৃষকরা।

আরও পড়ুন: জামিন পেলেন না রিপাবলিক টিভির সিইও

সীমান্তে হাজির ৩৩টি কৃষক সংগঠনের প্রধানরা জানান, কৃষি আইনের প্রতিবাদে আজ অনশন রাখবেন। এক বিন্দু জল অবধি স্পর্শ করবেন না তাঁরা। সেওয়াই মাধোপুরের কিষান মহাপঞ্চায়েতের সভাপতি রামপাল জাট জানান, শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন করা হবে। গত মাস থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনে যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনও করা হবে এই অনশনের মাধ্যমে। কৃষক আন্দোলনের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিস বিভিন্ন সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।

রবিবারই কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার (Narendra Singh Tomar) কৃষি আইন ঘিরে বিরোধী দলগুলিকে আক্রমণ করে বলেন, “দীর্ঘকালীন লাভের পরিকল্পনা করেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছিল। স্বল্প সময়ের জন্য কিছু সমস্যা হয়তো হতে পারে। তবে আমরা জানি, কোনও সমস্যা ছাড়াই আমরা সফল হতে পারব।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কৈলাশ চোধুরি জানান, শীঘ্রই সরকারের তরফ থেকে কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে।

সরকারের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল যেকোনও সময়ে তারা কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি। তবে কৃষক সংগঠনের প্রধানরা জানান, কৃষি আইন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তে রাজি হলেই তাঁরা সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।

আরও পড়ুন: আর কোনও দিন ফিরবে না ৩৭০ অনুচ্ছেদ: অনুরাগ ঠাকুর