নয়া দিল্লি: দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে আন্দোলন চালানোর পর অবশেষে কৃষক আন্দোলন (Farmers Protest) প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছে সংগঠনগুলি। শনিবার থেকেই দিল্লির তিন সীমান্ত- সিংঘু(Singhu), গাজিপুর (Gazipur) ও টিকরি (Tikri) সীমান্ত থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেবেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। তারই আগে তিন সীমান্ত থেকে আজ বিজয় মিছিল (Victory Rally) বের করার ঘোষণা করল কৃষকরা।
তিন কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহারের দাবিতে গতবছরের নভেম্বর মাস থেকে দিল্লির সীমান্তে আন্দোলন শুরু করেছিল পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ দেশের একাধিক প্রান্তের কৃষকরা। কেন্দ্রের তরফে একাধিকবার আলোচনা বসলেও, কোনও প্রস্তাবেই রাজি হয়নি আন্দোলনকারী কৃষকরা। অবশেষে আন্দোলনকারী কৃষকদের কথা ভেবেই গত ১৯ নভেম্বর আইন প্রত্যাহারের (Farm Laws Repeal) ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সংসদে শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই এই আইন প্রত্যাহারের বিল পাশ হয়ে যায়।
তবে আইন প্রত্যাহারের ঘোষণার পরও আন্দোলন প্রত্যাহার করেনি কৃষকরা। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টি সহ একাধিক দাবি জানায় তারা। এরপরই কেন্দ্রের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয় এমএসপি কমিটি গঠনের। এই কমিটিতে সরকার ও কৃষক পক্ষের প্রতিনিধিরা ছাড়াও কৃষি বিশারদ, গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত মামলা প্রত্যাহারের দাবিও কেন্দ্র মেনে নিলে, আন্দোলন প্রত্য়াহারের কথা ঘোষণা করে কৃষক সংগঠনগুলি। আন্দোলন চলাকালীন যে ৭০০ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণের দাবি সম্পর্কে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, পঞ্জাব সরকার ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে। হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশ সরকারও এই প্রস্তাবে সহমত হয়েছে।
ইতিমধ্য়েই দিল্লি সীমান্তে তৈরি তাদের অস্থায়ী ঘরও খুলে ফেলার কাজ শুরু করেছে কৃষকরা। আজ থেকেই পঞ্জাব, হরিয়ানার উদ্দেশে রওনা দেবে আন্দোলনকারী কৃষকরা, তবে তার আগে বেশ কিছু কর্মসূচি্ৃর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। জানা গিয়েছে, আজই দিল্লির তিন সীমান্ত থেকে আন্দোলনকারী কৃষকরা একটি বিজয় মিছিল বের করবে। কৃষকদের দাবির কাছে কেন্দ্রকে মাথা নত করতে হয়েছে, এই মর্মেই তারা এই মিছিল করবে।
শুধু মিছিলই নয়, আগামী ১৩ ডিসেম্বর অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে প্রার্থনা করবেন কৃষকরা। সূত্রের খবর, চলতি মাসের ১৫ তারিখ নিজেদের মধ্যে বৈঠক বসে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করবে কৃষক সংগঠনগুলি। এছাড়াও বিভিন্ন হাইওয়ের ধারেও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষকেরা ট্রাক্টর নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিলে তাদের রাস্তার দু’ধার থেকে স্বাগত জানানো হবে।
গতকালই এই বিজয় মিছিল হওয়ার কথা থাকলেও তামিলনাড়ুতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াত সহ ১৩ জনের মৃত্যু হওয়ায়, শোকপালনেই এই মিছিল একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গতকাল তাঁর বাসভবনে গিয়েছিলেন ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত।
নয়া দিল্লি: দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে আন্দোলন চালানোর পর অবশেষে কৃষক আন্দোলন (Farmers Protest) প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছে সংগঠনগুলি। শনিবার থেকেই দিল্লির তিন সীমান্ত- সিংঘু(Singhu), গাজিপুর (Gazipur) ও টিকরি (Tikri) সীমান্ত থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেবেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। তারই আগে তিন সীমান্ত থেকে আজ বিজয় মিছিল (Victory Rally) বের করার ঘোষণা করল কৃষকরা।
তিন কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহারের দাবিতে গতবছরের নভেম্বর মাস থেকে দিল্লির সীমান্তে আন্দোলন শুরু করেছিল পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ দেশের একাধিক প্রান্তের কৃষকরা। কেন্দ্রের তরফে একাধিকবার আলোচনা বসলেও, কোনও প্রস্তাবেই রাজি হয়নি আন্দোলনকারী কৃষকরা। অবশেষে আন্দোলনকারী কৃষকদের কথা ভেবেই গত ১৯ নভেম্বর আইন প্রত্যাহারের (Farm Laws Repeal) ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সংসদে শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই এই আইন প্রত্যাহারের বিল পাশ হয়ে যায়।
তবে আইন প্রত্যাহারের ঘোষণার পরও আন্দোলন প্রত্যাহার করেনি কৃষকরা। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টি সহ একাধিক দাবি জানায় তারা। এরপরই কেন্দ্রের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয় এমএসপি কমিটি গঠনের। এই কমিটিতে সরকার ও কৃষক পক্ষের প্রতিনিধিরা ছাড়াও কৃষি বিশারদ, গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত মামলা প্রত্যাহারের দাবিও কেন্দ্র মেনে নিলে, আন্দোলন প্রত্য়াহারের কথা ঘোষণা করে কৃষক সংগঠনগুলি। আন্দোলন চলাকালীন যে ৭০০ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণের দাবি সম্পর্কে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, পঞ্জাব সরকার ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে। হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশ সরকারও এই প্রস্তাবে সহমত হয়েছে।
ইতিমধ্য়েই দিল্লি সীমান্তে তৈরি তাদের অস্থায়ী ঘরও খুলে ফেলার কাজ শুরু করেছে কৃষকরা। আজ থেকেই পঞ্জাব, হরিয়ানার উদ্দেশে রওনা দেবে আন্দোলনকারী কৃষকরা, তবে তার আগে বেশ কিছু কর্মসূচি্ৃর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। জানা গিয়েছে, আজই দিল্লির তিন সীমান্ত থেকে আন্দোলনকারী কৃষকরা একটি বিজয় মিছিল বের করবে। কৃষকদের দাবির কাছে কেন্দ্রকে মাথা নত করতে হয়েছে, এই মর্মেই তারা এই মিছিল করবে।
শুধু মিছিলই নয়, আগামী ১৩ ডিসেম্বর অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে প্রার্থনা করবেন কৃষকরা। সূত্রের খবর, চলতি মাসের ১৫ তারিখ নিজেদের মধ্যে বৈঠক বসে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করবে কৃষক সংগঠনগুলি। এছাড়াও বিভিন্ন হাইওয়ের ধারেও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষকেরা ট্রাক্টর নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিলে তাদের রাস্তার দু’ধার থেকে স্বাগত জানানো হবে।
গতকালই এই বিজয় মিছিল হওয়ার কথা থাকলেও তামিলনাড়ুতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াত সহ ১৩ জনের মৃত্যু হওয়ায়, শোকপালনেই এই মিছিল একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গতকাল তাঁর বাসভবনে গিয়েছিলেন ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত।