চেন্নাই: বর্তমানে দু’চাকার (Two Wheeler) ওপর অনেকেই নির্ভরশীল। নিয়মিত কর্মক্ষেত্রে যাওয়াই হোক বা স্কুল কলেজ, বাইক বা স্কুটার ব্যবহারে অনেক সুবিধা রয়েছে। যাঁরা শহরে থাকেন, বাসে-ট্রামে চেপে জরুরি কাজে যাওয়ার সময় তীব্র যানযটে আটকে থাকতে হয়, তাই নিজের যদি একটা দু’চাকা থাকে তবে সহজেই যানযট এড়িয়ে কর্মস্থলে পৌঁছতে অনেকটাই সুবিধা হয়। তবে বিগত কয়েক মাস ধরে যেভাবে পেট্রোলের দাম (Petrol Price) বাড়ছে, তাতে বাইকে বা স্কুটারে তেল ভরতে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। তারপর রাস্তায় বাইক বা স্কুটার চালানোর অনেক ঝক্কিও রয়েছে। নিজের পলিউশন, ইনসিওরেন্স বা লাইসেন্স থেকে শুরু করে যাবতীয় নথিপত্র সবসময় সঠিক রাখতে হয়, নইলে ট্রাফিক ফাইন অনিবার্য। একে তেলের খরচ তার মধ্যে নথিপত্রের ঝঞ্ঝাট এড়াতে বর্তমানে অনেকেই ইলেকট্রিক ভেহিকেল বা ই-স্কুটারের (Electric Scooter) ওপর আস্থা রাখছেন। একে তো পেট্রোল চালিত বাইক-স্কুটারের তুলনায় ই-স্কুটারের দাম কম, তার মধ্যে না আছে পেট্রোলের খরচ না আছে সব সময় কাছে নথিপত্র রাখার প্রয়োজনীয়তা। এক চার্জেই ছুটবে গাড়ি। এই যান ব্যবহার করলে পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনাও থাকে না।
তবে ইলেকট্রিক স্কুটার থেকেই যে এমন ঘটনা ঘটবে তা হয়ত কল্পনাও করতে পারেননি তামিলনাড়ুর ভেলোরের বাবা ও মেয়ে। ইলেকট্রিক স্কুটারে চার্জ দেওয়ার সময় বিস্ফোরণ হয়ে সঙ্গে সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৯ বছর বয়সী দুরাই বার্মা এবং তাঁর ১৩ বছর বয়সী মেয়ে প্রীতি। ভেলোরের নিকটবর্তী আল্লাপূরমের বাসিন্দা ওই দুইজন। দুরাই সদ্য ওই নতুন ই-স্কুটারটি কিনেছিলেন। শুক্রবার নিজের বাড়িতেই সেই নতুন কেনা স্কুটার চার্জে বসিয়ে ছিলেন। চার্জ হওয়াকালীন ওই স্কুটারে বিস্ফোরণ হয়ে বাড়িতে আগুন লেগে যায়। আতঙ্কে দুরাই তাঁর কিশোরী মেয়েকে নিয়ে বাথরুমে গিয়ে লুকিয়েছিল। তীব্র আগুনে বাড়ি ধোয়া ঢেকে যায়। কালো ধোয়াতেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তাঁরা বাথরুমেই মারা গিয়েছেন। আগুন দেখে প্রতিবেশিরা দমকলে খবর দিয়েছিল। দমকল কর্মীরা তাদের বাঁচাতে বাড়িতে প্রবেশ করলে বাবা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন Yogi Adityanath: শপথ গ্রহণের পর প্রথম সিদ্ধান্ত, সাধারণের জন্য বড় ঘোষণা করলেন যোগী আদিত্যনাথ