শ্রীনগর : নারীদের ক্ষমতায়ন!কেন্দ্রে মোদী সরকার (Modi Government) আসার পর থেকেই দেশের মহিলাদের উন্নয়নে এবং তাঁদের ক্ষমতায়নের পক্ষে সওয়াল করেছেন। এবার এই নারী ক্ষমতায়নের নজির দেখা যাবে উপত্যকায়। কাশ্মীরে (Kashmir) সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানে এবার থেকে বন্দুক হাতে দেখা যাবে মহিলা আধা সামরিক সিআরপিএফ জওয়ানদের (CRPF Jawans)। নতুন বছরের মার্চ মাস থেকেই এই ছবি দেখা যাবে উপত্যকায়। আর উপত্যকায় জঙ্গিদের সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ের ক্ষেত্রে এই প্রথমবারের জন্য কোনও নিরপাত্তা সংস্থার তরফে মহিলাদের যোগদান করানো হচ্ছে।
বর্তমানে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (Central Reserve Police Force) মহিলা বাহিনীর প্রশিক্ষণ চলছে। মোটামুটি চার থেকে ছয় সপ্তাহ চলবে এই প্রশিক্ষণ। তারপর উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় পুরুষ সিআরপিএফ জওয়ানের পাশাপাশি মহিলা সিআরপিএফ মোতায়েন করা হবে। শ্রীনগর সেক্টরের সিআরপিএফ ইনস্পেক্টর জেনারেল চারু সিনহা এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, “আমরা প্রথমে অল্প সংখ্যক মহিলা জওয়ান মোতায়েন করব। কোনও ঘেরাও ও তল্লাশি অভিযানের সময় স্থানীয় মহিলারা যাতে নিরাপদ বোধ করেন, সে কথা ভেবেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, চারু সিনহাই প্রথম মহিলা আইপিএস অফিসার যাঁকে সিআরপিএফ-র শ্রীনগর সেক্টরের প্রধান পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। তিনি বলছেন, স্থানীয় ভাবাবেগকে সম্মান জানানোর জন্য সরসারি কমব্যাটে মহিলা জওয়ান মোতায়েন করা হচ্ছে। বর্তমানে শ্রীনগর বিমানবন্দরে সিভিল সেক্রেটারিয়েট ও অন্যান্য় সরকারি প্রতিষ্ঠানে মহিলাদের তল্লাশি চালানোর জন্য মহিলা সিআরপিএফ কর্মীদের মোতায়েন করা হয়ে থাকে। এবার উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানে পুরুষ সিআরপিএফ জওয়ানের পাশে দেখা যাবে মহিলা জওয়ানদেরও। সিনহা জানিয়েছেন, পুরুষ কনস্টেবল যা করছেন মহিলারাও তাই করবেন। পুরুষদের কাছে যে অস্ত্র থাকবে মহিলারাও একই অস্ত্র হাতে নামবেন অভিযানে। এদিকে মহিলা সিআরপিএফ জওয়ান মোতায়েনের আগে ছয় মাসের জন্য একটি পাইলট প্রজেক্ট চালু করা হয়েছিল। আর এতে সাফল্য় পাওয়ার পরেই মার্চ মাস থেকে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানে জঙ্গিদের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে মহিলা জওয়ান মোতায়েন করা হচ্ছে।