নয়া দিল্লি: বুধবার (২৪ জুলাই), লোকসভায় দেখা গেল গঙ্গোপাধ্যায় বনাম গগৈ। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বাজেটে প্রস্তাবের উপর বলতে উঠেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদ, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এটিই ছিল লোকসভায় তাঁর প্রথম বক্তৃতা। আর প্রথম বক্তৃতা দেওয়ার সময়ই কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার উপ-দলনেতা গৌরব গগৈয়ের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়লেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বলা কিছু কথা পরে লোকসভার রেকর্ড থেকে মুছেও ফেলতে হয়েছে।
সেই সময় চেয়ারে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা ছিলেন না। তাঁর বদলে সভা পরিচালনা করছিলেন চেয়ারপার্সন দিলীপ সাইকিয়া। বাজেট বক্তৃতায় তমলুকের সাংসদ অতিরিক্ত সময় নিচ্ছেন বলে আপত্তি এসেছিল বিরোধী বেঞ্চ থেকে। দিলীপ সাইকিয়াও প্রাক্তন বিচারপতিকে এক মিনিটে তাঁর বক্তৃতা শেষ করতে বলেন। এরপরই, বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যাঁরা আমায় বক্তৃতা শেষ করতে বলছেন, তাঁদের বলি, আমার বক্তৃতা শোনার জন্য তাদের এখানে থাকতে বলিনি।”
এতে, কংগ্রেসের লোকসভার উপ-দলনেতা গৌরব গগৈ মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের প্রসঙ্গ তোলেন। অতীতে এক টিভি সাক্ষাৎকারে, বিজেপির প্রথমবারের সাংসদ বলেছিলেন, মহাত্মা গান্ধীকে হত্যার পিছনে গডসের কী প্রেরণা ছিল, তা না বুঝতে পারলে, গান্ধী এবং গডসের মধ্যে কোনও একজনকে বেছে নেওয়াটা তাঁর পক্ষে অসম্ভব। সেই প্রসঙ্গ তুলে গডসে সম্পর্কে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতামত জিজ্ঞাসা করেন গৌরব গগৈ।
এরপরই, গৌরব গগৈকে পাল্টা তোপ দাগেন প্রাক্তন বিচারপতি। যা অসংসদীয় বলে দাবি বিরোধীদের। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, “স্টুপিডের (নির্বোধ) মতো কথা বলবেন না।” তিনি আরও বলেন, গান্ধী বা গডসে কারও সম্পর্কেই কিছু জানেন না গৌরব গগৈ। এরপর, দুজনের মধ্যে বেশ কিছু উত্তপ্ত বাক্য আদান-প্রদান হয়।
এর মধ্যে চেয়ারে আসেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। তিনি গৌরব গগৈয়ের কাছে জানতে চান, অভিজিৎ কোন শব্দ প্রয়োগ করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে? গৌরব গগৈ অবশ্য নিজে সেই শব্দ আর উচ্চারণ করতে চাননি। মার্শালের কাছ থেকে জেনে নিতে বলেন। একই সঙ্গে জনান, অভিজিৎ প্রথমবারের সাংসদ। হয়তো সংসদে কীভাবে কথা বলতে হয় জানেন না। কিন্তু, সেই সময় লোকসভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সিনিয়র নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। তাঁর অন্তত অভিজিতের হয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে দাবি করেন গগৈ। পরে অভিজিতের বলা আপত্তিকর শব্দগুলি রেকর্ড থেকে মুছে ফেলা হয়।
নয়া দিল্লি: বুধবার (২৪ জুলাই), লোকসভায় দেখা গেল গঙ্গোপাধ্যায় বনাম গগৈ। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বাজেটে প্রস্তাবের উপর বলতে উঠেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদ, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এটিই ছিল লোকসভায় তাঁর প্রথম বক্তৃতা। আর প্রথম বক্তৃতা দেওয়ার সময়ই কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার উপ-দলনেতা গৌরব গগৈয়ের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়লেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বলা কিছু কথা পরে লোকসভার রেকর্ড থেকে মুছেও ফেলতে হয়েছে।
সেই সময় চেয়ারে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা ছিলেন না। তাঁর বদলে সভা পরিচালনা করছিলেন চেয়ারপার্সন দিলীপ সাইকিয়া। বাজেট বক্তৃতায় তমলুকের সাংসদ অতিরিক্ত সময় নিচ্ছেন বলে আপত্তি এসেছিল বিরোধী বেঞ্চ থেকে। দিলীপ সাইকিয়াও প্রাক্তন বিচারপতিকে এক মিনিটে তাঁর বক্তৃতা শেষ করতে বলেন। এরপরই, বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যাঁরা আমায় বক্তৃতা শেষ করতে বলছেন, তাঁদের বলি, আমার বক্তৃতা শোনার জন্য তাদের এখানে থাকতে বলিনি।”
এতে, কংগ্রেসের লোকসভার উপ-দলনেতা গৌরব গগৈ মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের প্রসঙ্গ তোলেন। অতীতে এক টিভি সাক্ষাৎকারে, বিজেপির প্রথমবারের সাংসদ বলেছিলেন, মহাত্মা গান্ধীকে হত্যার পিছনে গডসের কী প্রেরণা ছিল, তা না বুঝতে পারলে, গান্ধী এবং গডসের মধ্যে কোনও একজনকে বেছে নেওয়াটা তাঁর পক্ষে অসম্ভব। সেই প্রসঙ্গ তুলে গডসে সম্পর্কে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতামত জিজ্ঞাসা করেন গৌরব গগৈ।
এরপরই, গৌরব গগৈকে পাল্টা তোপ দাগেন প্রাক্তন বিচারপতি। যা অসংসদীয় বলে দাবি বিরোধীদের। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, “স্টুপিডের (নির্বোধ) মতো কথা বলবেন না।” তিনি আরও বলেন, গান্ধী বা গডসে কারও সম্পর্কেই কিছু জানেন না গৌরব গগৈ। এরপর, দুজনের মধ্যে বেশ কিছু উত্তপ্ত বাক্য আদান-প্রদান হয়।
এর মধ্যে চেয়ারে আসেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। তিনি গৌরব গগৈয়ের কাছে জানতে চান, অভিজিৎ কোন শব্দ প্রয়োগ করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে? গৌরব গগৈ অবশ্য নিজে সেই শব্দ আর উচ্চারণ করতে চাননি। মার্শালের কাছ থেকে জেনে নিতে বলেন। একই সঙ্গে জনান, অভিজিৎ প্রথমবারের সাংসদ। হয়তো সংসদে কীভাবে কথা বলতে হয় জানেন না। কিন্তু, সেই সময় লোকসভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সিনিয়র নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। তাঁর অন্তত অভিজিতের হয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে দাবি করেন গগৈ। পরে অভিজিতের বলা আপত্তিকর শব্দগুলি রেকর্ড থেকে মুছে ফেলা হয়।