
নয়া দিল্লি: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিকের। পিছন থেকে এসে একটি বিএমডব্লু গাড়ি ধাক্কা মারে ওই আধিকারিকের বাইকে, কার্যত পিষে দেয় বাইকটিকে। পরে তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর জখম তাঁর স্ত্রী।
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর নভজ্যোত সিং তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে দিল্লির গুরুদ্বার বাংলা সাহিব থেকে ফিরছিলেন। দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট মেট্রো স্টেশনের কাছে রিং রোডে একটি বিএমডব্লু গাড়ি আচমকা ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়েন নভজ্যোত ও তাঁর স্ত্রী। দুজনেই গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে নভজ্যোতের মৃত্যু হয়।
নভজ্যোত সিংয়ের ছেলের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর তাঁর মা-বাবাকে জিটিবি নগরের নিউলাইফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যা দুর্ঘটনাস্থল থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে। এতটা দূরত্ব অতিক্রম করে যাওয়ার জন্যই তাঁর বাবাকে বাঁচানো যায়নি। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে তড়িঘড়ি কেন কাছের কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল না?
আরও অভিযোগ, যে বিএমডব্লু গাড়িটি ধাক্কা মেরেছে, তাঁর চালক ছিলেন এক মহিলা। তিনি নিজেও আহত হয়েছেন। তিনিই এতদূরের হাসপাতালে ভর্তি করেন নভজ্যোত ও তাঁর স্ত্রীকে। কিন্তু এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই মহিলার পরিচয় প্রকাশ্যে আনছে না। নভজ্যোত সিংয়ের ছেলের অভিযোগ, ওই ঘাতক মহিলাকে আড়াল করা হচ্ছে। তাঁর জন্য মিথ্যা রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, নর্থ ব্লকে বসতেন নভজ্যোত। তিনি অর্থমন্ত্রকের অধীনে ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সের ডেপুটি সেক্রেটারি পদে ছিলেন।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, যে মহিলা ধাক্কা মেরেছিলেন, তাঁর পরিচয় জানা গিয়েছে। তাঁর নাম গগনপ্রীত। দুর্ঘটনার সময় তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন। স্বামী পরীক্ষিত পাশে বসেছিলেন। দুর্ঘটনার পর তাঁরা ক্যাবে করে হাসপাতালে যান। দুর্ঘটনাস্থলেই রাস্তার ধারে গাড়িটি দাড় করানো ছিল। বাইকটি ডিভাইডারের কাছে রাখা ছিল।