মুম্বই: ২৬/১১ হামলার স্মৃতি এখনও দগদগে। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর আরব সাগরের পথ দিয়েই পাকিস্তান থেকে মুম্বইয়ে পৌঁছেছিল আজমল কাসব ও তাঁর সঙ্গীরা। তারপরের ঘটনা সকলেই প্রায় জানা। ৬০ ঘণ্টা ধরে শহরে তাণ্ডব চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ার কাছে অবস্থিত তাজ হোটেল থেকে শুরু করে হাসপাতাল, রেলস্টেশন, ইহুদি ধর্মীয় কেন্দ্রে হামলা চালায় পাকিস্তানী জঙ্গিরা। মৃত্যু হয় ১৬৬ জনের। মঙ্গলবার সেই হামলার স্মৃতিই ফিরে এল একবার। মুম্বইয়ের গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ার কাছেই হদিস মিলল এক রহস্যজনক মাছ ধরার বোটের। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই নৌকাটি কুয়েতের। সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হয় নৌকার তিন সওয়ারিকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ার কাছে “আবদুল্লা শরিফ” নামের একটি সন্দেহজনক নৌকাকে ইতি-উতি ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। নৌকাটি দেখে সন্দেহ হওয়ায় আটক করে পুলিশ। নৌকায় যে তিনজন ছিলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, নৌকাটি কুয়েতের। এরপরই আতঙ্ক ছড়ায়।
তবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, আটক তিনজনই তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীর বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে সন্দেহজনক কিছু এখনও উদ্ধার হয়নি। আটক তিনজনের দাবি, তাঁরা কুয়েতের একটি ফিশিং কোম্পানিতে কাজ করত। সেখানের মালিক তাদের উপরে অত্যাচার করত, বেতন দিত না। তাদের পাসপোর্টও কেড়ে নিয়েছে, যাতে দেশে ফিরতে না পারেন। বাধ্য হয়েই ওই তিনজন মিলে কোম্পানির একটি নৌকা চুরি করে দেশের উদ্দেশে পাড়ি দেয়ষ
এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “আটক তিন যুবক জানিয়েছে তারা একটানা ১২দিন ধরে নৌকা চালিয়ে মুম্বইয়ে এসে পৌঁছেছে। খাবার ফুরিয়ে যাওয়ায় বিগত ৩-৪ দিন ধরে তারা কিছু খায়নি। তাজ হোটেলের কাছেই সমুদ্রে ভাসছিল নৌকাটি। সেটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তল্লাশিতে এখনও অবধি সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।”
এদিকে, এই ঘটনায় উপকূলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেরই প্রশ্ন, “এতটা পথ অতিক্রম করে চলে এল নৌকা, উপকূল বাহিনীর র্যাডারে ধরা পড়ল না? এটা যদি ২৬/১১-র পুনরাবৃত্তি হত?”