Foreign nationals deportation: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ

জানা গিয়েছে, সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের পর নগাঁও জেলার বিভিন্ন স্থানে এই ১৫ জন বাস করছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের ধরা হয়। অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বারবার কড়া বার্তা দিয়েছেন। অনুপ্রবেশকারীদের অসমে কোনও স্থান হবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।

Foreign nationals deportation: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ
ফাইল ফোটোImage Credit source: PTI

Dec 18, 2025 | 10:43 PM

গুয়াহাটি: এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে রাজনৈতিক তরজা বেড়েছে বাংলায়। বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য সীমান্তে ভিড় দেখা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও কড়া বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠানো হবে। এই আবহে অসমে ১৫ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিল নগাঁও ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অসমে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিতকরণ ও ফেরত পাঠানোর দাবিতে আন্দোলন চলছে। হিমন্ত বিশ্বশর্মা সরকারও অনুপ্রবেশকারী মুক্তি অসমের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সম্প্রতি সীমান্ত দিয়ে অসমে অনুপ্রবেশের সময় অনেকে ধরা পড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে নগাঁওয়ের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল ১৫ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ফের পাঠানোর নির্দেশ দিল। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের পর প্রশাসনিক ও আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য এই ১৫ জনকে মাটিয়া ডিটেনশন শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রোটোকল মেনে বৃহস্পতিবার রাতেই সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাঁদের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সীমান্ত কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।

ট্রাইব্যুনাল ১৫ অনুপ্রবেশকারীর নাম জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের পর নগাঁও জেলার বিভিন্ন স্থানে এই ১৫ জন বাস করছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের ধরা হয়। অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বারবার কড়া বার্তা দিয়েছেন। অনুপ্রবেশকারীদের অসমে কোনও স্থান হবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। অনুপ্রবেশকারী রুখতে সীমান্তে যেমন সক্রিয় বিএসএফ, তেমনই অসমের পুলিশও  তৎপর।