চণ্ডীগঢ়: কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। সোমবার সেই প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক তথা বিজেপি নেত্রী সতকর কাউর (Satkar Kaur) ও তাঁর স্বামী জসমেইল সিং ওরফে লাদি গেহরিকে (Jasmail Singh) আটক করল পঞ্জাব ভিজিলেন্স ব্যুরো। হিসাব-বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার মামলাতেই তাঁদের আটক করেছে পঞ্জাব ভিজিল্যান্স ব্যুরো। যদিও বিজেপি নেত্রীর বক্তব্য, গোটা বিষয়টি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। তাঁরা বেআইনি কিছু করেননি এবং তার জন্য ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছিলেন সতকর কাউর।
ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সরকারের আমলে ২০১৭ সালে ফিরোজপুর গ্রামীণ থেকে কংগ্রেসের টিকিটে প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হন সতকর কাউর। বিধায়ক থাকাকালীন সময়েই সতকর ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে হিসাব-বহির্ভূত সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এরপর গত কয়েক মাস ধরে এই অভিযোগের তদন্ত করছিল পঞ্জাব ভিজিল্যান্স ব্যুরো।
ভিজিল্যান্স দলের তল্লাশি অভিযান
ভিজিল্যান্স ব্যুরোর টিম ইতিমধ্যে প্রাক্তন বিধায়ক সতকর কাউর গেহরি এবং তাঁর স্বামী লাদি গেহরিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। যদিও তাঁদের গ্রেফতারের বিষয়ে এখনও অফিসিয়ালি কোনও তথ্য মেলেনি।
জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন লাদি গেহরি
প্রাক্তন বিধায়ক সতকর কাউরের স্বামী লাদি গেহরিরও পঞ্জাবের রাজনীতিতে যথেষ্ট প্রভাব ছিল বলে মনে করা হয়। কারণ তিনি ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের নেতৃত্বাধীন সরকারে জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন। পদে থাকাকালীন সময়েই কংগ্রেস সরকারের বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন। বর্তমানে এই পুরো বিষয়টির তদন্ত করছে ভিজিল্যান্স ব্যুরো। যদিও তদন্ত রিপোর্ট এখনও প্রকাশ করেনি।
টিকিট না পেয়ে কংগ্রেস ত্যাগ
গত বিধানসভা নির্বাচনে লাদি গেহরি এবং তাঁর স্ত্রী সাতকর কাউর গেহরিকে কংগ্রেস টিকিট দেয়নি। তখন তাঁরা সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপরই সতকর কাউরকে দল থেকে বহিষ্কার করে কংগ্রেস। তখন কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন সতকর।