
নয়া দিল্লি: প্রয়াত দেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা শিবরাজ পাটিল। লোকসভার প্রাক্তন স্পিকারও ছিলেন তিনি। আজ, শুক্রবার সকালে মহারাষ্ট্রের লাতুরে নিজের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই বয়সজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। আজ ভোর সাড়ে ৬টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর পরিবারে রয়েছেন ছেলে শৈলেশ পাটিল, পুত্রবধূ অর্চনা, যিনি আবার বিজেপি নেত্রীও। দুই নাতনিও রয়েছে।
১৯৩৫ সালের ১২ অক্টোবর জন্ম গ্রহণ করেছিলেন শিবরাজ পাটিল। রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু হয়েছিল নিজের শহর লাতুর থেকেই। পুরসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে পৌরপ্রধান হয়েছিলেন তিনি। ৭০-র দশকে তিনি বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন। পরে টানা সাতবার, ১৯৮০, ১৯৮৪, ১৯৮৯, ১৯৯১, ১৯৯৬, ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে লাতুর থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। শেষবার, ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির রুপাতাই পাটিলের কাছে হেরে যান।
২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন শিবরাজ পাটিল। ২০০৮ সালে ২৬/১১ হামলার পর চরম সমালোচনার মুখে পড়েন। মুম্বই হামলা আটকাতে না পারা ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়ে নৈতিক দায়িত্ববোধে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন।
তার আগে ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত লোকসভার স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি পঞ্জাবের রাজ্যপাল ও চণ্ডীগঢ়ের প্রশাসনিক প্রধান পদে ছিলেন।
সকলের কাছে তিনি একদিকে যেমন সুদক্ষ প্রশাসক ছিলেন, তেমনই ছিল তাঁর ব্যবহার। কখনও কোনও নেতাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেননি তিনি। কোনও জনসভা বা বৈঠকেও কারোর সম্পর্কে বিরূপ কোনও মন্তব্য করেননি।
পড়াশোনা করতে খুব ভালবাসতেন শিবরাজ পাটিল। বই পড়ার শখ ছিল তাঁর। মারাঠি, ইংরেজি, হিন্দি ভাষায় দখল ছিল তাঁর। সংবিধান সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান ছিল।