মুম্বই: দশমীর দিন খুন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। শনিবার রাতে তাঁকে গুলি করে আততায়ীরা। হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুইজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খোঁজ চলছে আরও এক আততায়ীর। বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর খবর শুনেই শুটিং বন্ধ রেখে ছুটে যান বলিউড অভিনেতা সলমন খান।
জানা গিয়েছে, শনিবার, দশমীর রাতে মুম্বইয়ের বান্দ্রায় ছেলে জিশানের অফিসের বাইরে গুলিবিদ্ধ হন বাবা সিদ্দিকি। জিশান বান্দ্রা পূর্বের বিধায়ক। তাঁর সঙ্গেই দেখা করতে এসেছিলেন এনসিপি নেতা। আচমকাই আততায়ীরা অটোতে এসে বাবা সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ পরপর ছয় রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এর মধ্য়ে চারটি গুলি বাবা সিদ্দিকির বুকে লাগে।
সঙ্গে সঙ্গেই সিদ্দিকিকে মুম্বইয়ের বিখ্যাত লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে যান মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। শোক প্রকাশ করেন এনসিপি নেতা অজিত পওয়ারও। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বলেন, “আমি পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন উত্তর প্রদেশের, অন্যজন হরিয়ানার। আমি পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছি যাতে কেউ আইন নিজের হাতে নেওয়ার সাহস না দেখায়।”
সূত্রের খবর, বাবা সিদ্দিকির খুনের পিছনে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের হাত রয়েছে। ধৃতরা নিজেদের বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য বলেই দাবি করেছে। তবে লরেন্সের গ্যাংয়ের তরফে এই বিষয়ে এখনও দায় স্বীকার করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ৪৮ বছর ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বাবা সিদ্দিকি। তিনবার বান্দ্রা পশ্চিমের বিধায়কও ছিলেন। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি রাজ্য়ের খাদ্য, শ্রম মন্ত্রীও ছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই তিনি কংগ্রেস ছেড়ে অজিত পওয়ারের এনসিপি-তে যোগ দেন।